
বাচাঁনো গেলো না স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ মাহমুদা আক্তার মীমকে (২৬)। দীর্ঘ ১৭ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার (০৭জুন) সকাল ১১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।
এ ঘটনার পর থানায় মামলা হলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে ঘাতক স্বামী কথিত গ্রাম্য চিকিৎসক পিন্টু মিয়াসহ (৩২) অন্য আসামিদের এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ফলে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের দড়িসারদিয়ার গ্রামের আব্দুল মমিনের মেয়ে মাহমুদা আক্তার মীমের প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার রাজাইমণ্ডল গ্রামের সগির প্রামাণিকের ছেলে পিন্টু মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের পর আব্দুল্লাহ আল মাহিন (৮) এবং মুন্তাহা (৩) নামে তাদের দুটি সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের সময় দেড় লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হলেও পিন্টু মিয়া প্রায়ই যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন।