
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজিবপুর ও রৌমারী উপজেলার সীমান্তবর্তি গ্রামের পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে বয়ে চলেছে একটি ছোট্র নদী। নাম তার জিনজিরাম। এই জিনজিরাম নদীর উপারে রয়েছে রৌমারী উপজেলার ছোট -বড় প্রায় ৭টি গ্রাম।
অপরদিকে নদীর এপারে রয়েছে রাজিবপুর উপজেলার ৩টি গ্রাম। এপারের ৩ গ্রামের অধিকাংশ মানুষের আবাদি জমি জিনজিরাম নদীর ওপারে। সার্বক্ষনিক নদী পারাপার হতে হয় আবাদ,মৌসুম করার জন্য। অপরদিকে নদীর ওপারের ৭ গ্রামের মানুষের পারাপার ও ফসলাদি বিক্রিসহ নানা কাজে যোগাযোগ করতে হয় জিনজিরাম নদী পার হয়ে বালিয়ামারী দিয়ে। আর যদি এ পাশ দিয়ে ওই গ্রামের সর্বসাধারণ পার না হয় ১০কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় রৌমারীতে। এতে সময় ও খরচাদিও বেশি। ফলে দীর্ঘ দিনের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রৌমারী উপজেলার বকবান্ধা,খেওয়ারচর,উত্তরআলগা
গত শুক্রবার বিকালে রাজিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো জিনজিরাম নদী পাড়ে গেলে, এলাকাবাসী তাদের দীর্ঘ দিনের পারাপারের সমস্যা তুলে ধরেন। বালিয়ামারী বাজার পাড়া গ্রামের বিশিষ্ট ঠিকাদার শাহজাহান আকুল জানান,গত নবম জাতীয় সংসদ সদস্য মো: জাকির হোসেন এমপি ওই নদীর উপর একটি ব্রীজ বরাদ্ধ দিয়েছিলেন। তার শেষ মুহুর্তে টেন্ডারের সময় ১০ম জাতীয় সংসদে নির্বাচনে জাতীয় পার্টি জেপি থেকে এমপি নির্বাচিত হন রুহুল আমিন। তিনি বালিয়ামারী ব্রীজটি কেটে দিয়ে তার এলাকায় বালিয়াডাঙ্গি নাম দিয়ে ব্রীজটি করে নেয়। এতে বাদ পড়ে যায় বালিয়ামারীর ব্রীজটি। বালিয়ামারী বাজার পাড়া গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সাংবাদিক মতিউর রহমান জানান, জিনজিরাম নদীর পাড়ে বিশাল এলাকা জুড়ে ইরি-বোরো,সরিষা,ভুট্রা,কলাইসহ শত শত টন ফসল ফলে। নদী ও যাতায়াতের ভালো রাস্তা না থাকায় এলাকার কৃষক খুব কষ্ট করে তাদের ফসল ঘরে তোলেন। তিনি আরও জানান এলাকার কৃষক ফসল কাটার পর প্রথমে মাথায় অথবা মহিষের গাড়ি করে নদীর পাড়ে নিয়ে আসে,নদীতে নৌকা করে এপারে নামায়। আবার গাড়ী অথবা মাথায় করে ফসল বাড়িতে নিয়ে আসে। এতে সময় ও খরচাদি বেশি হয়। কৃষকবান্ধব সরকারের কাছে এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী অতি শ্রীঘ্রই যেন ওই নদীতে পারাপারের সুবিধার জন্য বালিয়ামারী ও লাঠিয়ালডাঙ্গা এলাকায় জিনজিরাম নদীতে ব্রীজ স্থাপন করেন।
এ ব্যাপারে রাজিবপুর উপজেলা পরিষদ চেযারম্যান আকবর হোসেন হিরো বলেন,আমি আমাদের মাননীয় প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি’র সাথে কথা বলব। তার সাথে যোগাযোগ করে পানি সম্পদ মন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা নিয়ে সার্বিক কল্যাণে যাতে ব্রীজটি হয় তার জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা করব।