
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার কেওতা ঘিগড়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. ওয়ালিউল্লাহ’র অফিস রুমে তালা লাগানো ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার দুপুরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও এলাকাবাসী। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার দুপুরে রাজাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের মাধ্যমে জানা যায়, কয়েকদিন পূর্বে মাদ্রাসায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে একটি নিয়োগ থাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী বিএনপির নেতা ও গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি তালুকদার আবুল কালাম আজাদ তার নিকটতম এক আত্মীয়র ব্যাপারে অন্য লোকের মাধ্যমে নিয়োগ কমিটির দায়িত্বে থাকা সদস্য সচিব (অধ্যক্ষ)সহ অনেকের কাছে টাকার প্রস্তাব দিলে তারা রাজি না হয়ে কোনো বিনিময় ছাড়া স্বচ্ছ পরীক্ষা নিয়ে ১ম স্থান অধিকারী ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছেন। আর ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত শনিবার বিএনপির প্রভাবশালী নেতার ইন্ধনে স্থানীয় যুবদল নেতা নাজমুল হাসান চমন সহ বহিরাগত কিছু দুস্কৃতকারী ও কিছু ছাত্ররা মাদ্রাসায় ডুকে মাদ্রাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর ও অধ্যক্ষের কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন। স্থানীয়রা ও শিক্ষকরা জানান, আবুল কালাম আজাদের পছন্দের প্রার্থীর নিয়োগ না হওয়ার পর থেকেই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদসহ হুমকি দিয়ে আসছেন। এমনকি অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে নিয়োগ হওয়া হাফিজুর রহমানকে মাদ্রাসার হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, নিয়োগ বোর্ডে আমিও ছিলাম নিয়োগ স্বচ্ছ হয়েছে এবং ব্যাপারে আমার কোনো দ্বিমত নেই আর আমি শুনেছি মাদ্রাসায় নবীন বরণ অনুষ্ঠান অধ্যক্ষ না করতে দেয়ায় ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ার টেবিল নাকি ভাঙচুর করেছে। রাজাপুর থানা এসআই আব্দুর রউফ বলেন, ঘটনা শুনে আমরা তাৎক্ষনিক সরেজমিনে গিয়েছি এবং ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। আর লিখিত অভিযোগ পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে তখনকার মাদ্রাসার গভনিং বডির সভাপতি হিসেবে দাফয়ত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমি স্বচ্ছ ও মেধায় যিনি ১ম স্থান অধিকার করেছেন তাকেই নিয়োগ দিয়েছি। এ বিষয়ে মাদ্রাসার বর্তমানে গভনিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি যতটুকু জানি ঐ নিয়োগ প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং যে ব্যক্তিটি নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন সে যাতে ওখানে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে সে ব্যাপারে আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা রয়েছে। আর তালা লাগানোর বিষয়টি আমি শুনেছি এবং সাথে সাথে ইউএনও মহোদয়কে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলে দিয়েছি।