
বর্তমানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে কোমলপানীয়। সব বয়সের মানুষ কোমলপানীয় খেয়ে থাকেন। তবে এই কোমলপানীয় যত বেশি জনপ্রিয়, তার চেয়ে বেশি ক্ষতিকর।
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত যারা কোমলপানীয় পান করছেন, তাদের ক্রনিক কিডনি ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। চিনি দিয়ে বা কৃত্রিম মিষ্টি দিয়ে তৈরি কোমলপানীয় আগাম মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে। কারণ এসব খাবারের কারণে হৃদরোগ, কিডনি ডিজিজ, কিডনিতে পাথর, টাইপ-টু ডায়াবেটিস, যকৃতের বিভিন্ন রোগের এবং কয়েক ধরনের ক্যানসারের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। খবর বিবিসির।
হার্ভাড ইউনিভার্সিটির টিএইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথ পরিচালিত নতুন একটি গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ৩০ বছর ধরে চালানো গবেষণাটির ফলাফল গত মাসে প্রকাশিত হয়। সারা বিশ্বের ৩৭ হাজার পুরুষ এবং ৮০ হাজার নারীর ওপর ওই গবেষণাটি পরিচালিত হয়।
এতে দেখা গেছে, চিনি দিয়ে তৈরি কোমলপানীয় পানের কারণে অন্য কোনো কারণ ছাড়াই তাদের আগাম মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে গেছে। গবেষণা বলছে, ওই জাতীয় পানীয় যত বেশি খাওয়া হবে, তাদের মৃত্যুঝুঁকিও ততই বেড়ে যাবে। কোমলপানীয়ে ইথিলিন গ্লারাইকোল নামে যে রাসায়নিক উপাদান মিশ্রণে তৈরি করা হয়। এটি আর্সেনিকের মতোই বিষ, যা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে কিডনির।
এ ছাড়া হৃদরোগ, দাঁতের ক্ষয়, হাড়ের ক্যালসিয়াম ক্ষয়, আসক্তি তৈরি, বদহজম, অকাল বার্ধক্য ছাড়াও অত্যধিক ক্যাফেইনের কারণে অ্যাড্রিনাল রোগ ইত্যাদি হয়ে থাকে।কোমলপানীয় হৃদরোগ ও ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কমলপানীয় নারীদের গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত চা বা কফির মতোই কোমলপানীয় গর্ভধারণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
কোমলপানীয়তে চিনি ও অম্লীয় উপাদান দুই-ই প্রচুর পরিমাণে থাকে। তাই যারা প্রতিদিন বা নিয়মিত কোমলপানীয় পান করেন, তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। যারা নিয়মিত অতিরিক্ত চিনিযুক্ত কোমলপানীয় পান করেন, তাদের এসব রোগ হওয়ার আশঙ্কা অন্যদের তুলনায় ৬১ শতাংশ বেশি।