
গোপীবাগের শিপন প্রতাপকে সেনাবাহিনীতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় প্রতারক চক্রের সদস্য সোহেল শিকদার। এ জন্য তিন লাখ টাকা নিয়ে সে একটি ভুয়া নিয়োগপত্রও পাঠিয়ে দেয়। নির্ধারিত দিনে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে জটিলতায় পড়েন শিপন। নানা টালবাহানার পর তাকে রাজধানীর মাটিকাটা চেকপোস্টে রেখে চম্পট দেয় প্রতারক। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। এর পর বৃহস্পতিবার রাজধানীর ভাসানটেক থেকে অভিযুক্ত সোহেল শিকদারকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
পিবিআই ঢাকা মহানগর অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, সোহেল শিকদার নিজেকে এমইএসের ঠিকাদার দাবি করে ভুক্তভোগীর সঙ্গে পরিচিত হয়। একপর্যায়ে সে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতাপের এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার সনদসহ অন্যান্য কাগজপত্রের মূল কপি নেয়। কিছুদিন পর ‘চাকরি হয়েছে’ জানিয়ে সে তিন লাখ টাকা দাবি করে। প্রতাপ তার মা, বোন ও বউদির গহনা বিক্রি করে তিন লাখ টাকা দেন। এর পর তাকে সেনা সদরের অফিস সহকারী পদের একটি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি শিপন চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করার পর তাকে নতুন একটি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। এ জন্য আবারও তিন লাখ টাকা নেয় প্রতারক। এবার চাকরিতে যোগ দিতে গেলে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মেডিকেল টেস্ট করাতে বলে। সবকিছু শেষ হওয়ার পর তাকে ঢাকা সেনানিবাসের মাটিকাটা চেকপোস্টে দাঁড় করিয়ে রেখে পালিয়ে যায় সোহেল। রাত ১০টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকার পর তার ফোনে মেডিকেল টেস্ট করানোর নতুন মেসেজ আসে। এ পর্যায়ে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন প্রতাপ।
পিবিআইর বিশেষ পুলিশ সুপার বশীর আহমেদ জানান, সোহেল শিকদার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, সে তার স্ত্রী সেলিনা বেগম ও খলিলুর রহমানের সহায়তায় প্রতাপের ছয় লাখ ও দেবাশীষ বিশ্বাস নামে আরেকজনের ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। চাকরির আবেদন ও অন্যান্য কাগজপত্র তার কাছে জমা আছে।