উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের সংবাদ প্রকাশ করায় যুগান্তর পত্রিকার উলিপুর প্রতিনিধি উত্তম কুমার সেন গুপ্ত লক্ষনকে লাঞ্চিত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুর এবং টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ মধুপুর সাতকুড়ারপাড় গ্রামের সুশীল চন্দ্র বর্মণের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী মহলে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সাংবাদিক শিমুল দেব, ইউনুছ আলী, চন্দন সরকার ও ব্যবসায়ী মোস্তোফা কামাল জানান, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার ধরণীবাড়ী এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতে সুশীল চন্দ্র বর্মণের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সুবল চন্দ্রের দখলে থাকা বাড়ীঘর ভেঙ্গে ও মালামাল লুট করে দখলে নেয় ২৫ শতক জমি। এ সংবাদ রোববার যুগান্তরে প্রকাশ হলে তোলপাড় শুরু হয় পুলিশ বিভাগে। বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সন্ত্রাসীরা। সুশীল চন্দ্র বর্মণের নেতৃত্বে ৪৫/৫০ জনের একটি দল রোববার দুপুরে প্রথমে থানায় হাজির হয়। পরে ফেরার পথে দুপুর আড়াইটার দিকে যুগান্তরের উলিপুর প্রতিনিধি উত্তম কুমার সেন গুপ্ত লক্ষণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে (উলিপুর উপজেলা শহরের বাজারে অবস্থিত) হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে। এক পর্যায়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ডয়ার ভেঙ্গে ৫৫ হাজার টাকা লুটকরে এবং লক্ষনকে লাঞ্চিত করে। তারা এক পর্যায়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন সাংবাদিকের বাড়িতেও হামলার চেষ্টা করে। পার্শবর্তী ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকরা সংগঠিত হয়ে এগিয়ে এসে প্রতিরোধ গড়ে তুললে সন্ত্রাসীরা পিছুহটে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভাবে মোবাইল ফোনে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেনকে অবহিত করা হয়। তিনি পুলিশ ফোর্স পাঠাতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি।
উত্তম কুমার সেন গুপ্ত লক্ষন জানান, হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। পুলিশকে মোবাইলে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। মামলা প্রস্তুতি চলছে। রাতেই থানায় এজাহার দাখিল করা হবে।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন স্বীকার করেন সুশীল চন্দ্র বর্মণের নেতৃত্বে একদল মানুষ তাঁর সাথে দেখা করতে থানায় আসে। এর পর তাঁরা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছেকিনা সেটা তার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।