এম এ কে লিমনঃ
এবার কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার যৌন হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। যৌন হয়রানীর শিকার ঐ শিক্ষিকা রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসে গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, রৌমারী উপজেলার ঝুনকার চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা: রোজিনা আক্তারকে প্রায় দুই বছর ধরে কু-প্রস্তাব দেয়াসহ উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: লাল মিয়া। এমতাবস্থায় নিজের সম্মান, স্বামী, সংসারের কথা চিন্তা করে এতোদিন বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে নিরব প্রতিবাদ করে আসছিলেন ঐ শিক্ষিকা। আর এই নিরব প্রতিবাদকে দুর্বলতা ভেবে গত শনিবার দুপুরের দিকে ঐ শিক্ষিকাকে অফিস রুমে একা পেয়ে অশ্লিল অঙ্গভঙ্গি করাসহ অশ্লিল কথাবার্তা বলতে থাকে প্রধান শিক্ষক লাল মিয়া। এসময় ঐ শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষকের এসব কথাবার্তা ও অঙ্গভঙ্গির প্রতিবাদ করে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তার কথা কোন কর্ণপাত না করেই নিজের চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে শিক্ষিকা মোছা: রোজিনা আক্তারকে আর্তকিতভাবে জড়িয়ে ধরে। এ অবস্থায় শিক্ষিকা চিৎকার করতে চাইলে এক হাত দিয়ে তার মুখ চেয়ে ধরে আর অন্য হাত দিয়ে তার স্পর্শ কাতর জায়গায় হাত বোলাতে থাকে। শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষককে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে তখন সে তাকে অন্যত্র বদলী করার হুমকী দিতে থাকে। এর এক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষককে স্ব-জোড়ে ধাক্কা মেরে নিজেকে মুক্ত করে বারান্দায় গিয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। তখন কান্নার শব্দ শুনে ক্লাস রুমে থাকা সহকারী শিক্ষিকা মোছা: ফাতেমা খাতুন এবং সহকারী শিক্ষক মো: শহিদুল ইসলামসহ শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে তার কাছে বিষয়টি জানতে পারে।
অভিযোগ সুত্রে আরো জানা গেছে, যৌন হয়রানীর শিকার ঐ শিক্ষিকা বিষয়টি সঙ্গে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে এবং বাড়ি চলে যায়। পরে বাড়িতে গিয়ে তার স্বামী ও স্বামীর বাড়ির লোকজনের সাথে পরামর্শ করে রোববার দুপুরে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তার অফিসে হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করে।
এব্যাপারে ঝুনকার চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক লাল মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কি অভিযোগ করেছে সেটা আমার জানা নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার অফিসের আমাকে ডেকে নিয়ে জানতে চেয়েছে। আমি বলেছি সময়মত বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া নিয়ে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে।
এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিপঙ্কর রায় জানান, ঝুনকার চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার অভিযোগ পেয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে বিষয়টিতে গড়মিল আছে। আরো অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, রৌমারী উপজেলার ঝুনকার চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা: রোজিনা আক্তারকে প্রায় দুই বছর ধরে কু-প্রস্তাব দেয়াসহ উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: লাল মিয়া। এমতাবস্থায় নিজের সম্মান, স্বামী, সংসারের কথা চিন্তা করে এতোদিন বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে নিরব প্রতিবাদ করে আসছিলেন ঐ শিক্ষিকা। আর এই নিরব প্রতিবাদকে দুর্বলতা ভেবে গত শনিবার দুপুরের দিকে ঐ শিক্ষিকাকে অফিস রুমে একা পেয়ে অশ্লিল অঙ্গভঙ্গি করাসহ অশ্লিল কথাবার্তা বলতে থাকে প্রধান শিক্ষক লাল মিয়া। এসময় ঐ শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষকের এসব কথাবার্তা ও অঙ্গভঙ্গির প্রতিবাদ করে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তার কথা কোন কর্ণপাত না করেই নিজের চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে শিক্ষিকা মোছা: রোজিনা আক্তারকে আর্তকিতভাবে জড়িয়ে ধরে। এ অবস্থায় শিক্ষিকা চিৎকার করতে চাইলে এক হাত দিয়ে তার মুখ চেয়ে ধরে আর অন্য হাত দিয়ে তার স্পর্শ কাতর জায়গায় হাত বোলাতে থাকে। শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষককে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে তখন সে তাকে অন্যত্র বদলী করার হুমকী দিতে থাকে। এর এক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষককে স্ব-জোড়ে ধাক্কা মেরে নিজেকে মুক্ত করে বারান্দায় গিয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। তখন কান্নার শব্দ শুনে ক্লাস রুমে থাকা সহকারী শিক্ষিকা মোছা: ফাতেমা খাতুন এবং সহকারী শিক্ষক মো: শহিদুল ইসলামসহ শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে তার কাছে বিষয়টি জানতে পারে।
অভিযোগ সুত্রে আরো জানা গেছে, যৌন হয়রানীর শিকার ঐ শিক্ষিকা বিষয়টি সঙ্গে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে এবং বাড়ি চলে যায়। পরে বাড়িতে গিয়ে তার স্বামী ও স্বামীর বাড়ির লোকজনের সাথে পরামর্শ করে রোববার দুপুরে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তার অফিসে হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করে।
এব্যাপারে ঝুনকার চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক লাল মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কি অভিযোগ করেছে সেটা আমার জানা নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার অফিসের আমাকে ডেকে নিয়ে জানতে চেয়েছে। আমি বলেছি সময়মত বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া নিয়ে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে।
এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিপঙ্কর রায় জানান, ঝুনকার চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার অভিযোগ পেয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে বিষয়টিতে গড়মিল আছে। আরো অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।