আল-আমিন খান লিমন,সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
তিস্তা নদের পানি কমলেও কমেনি ভাঙ্গন, নেই কোন শান্তি,আছে শুধুই চোখের পানি। বছরের পর বছর চলছে ভাঙ্গনের এই যুদ্ধ। কবে কোথায় কখন থামবে এই যুদ্ধ তাও অজানা হরিপুরবাসীর । ভাঙ্গন কবলিত বেশির ভাগ মানুষের নেই থাকার কোন স্থান নেই একটু শান্তির আবাস। একটু সুখের আশায় আশ্রয়ের সন্ধানে প্রতি নিয়ত ছুটছে মানুষ। দিনের পর দিন নিঃস্ব করে দিচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষকে। আর সেই ভাঙ্গনের শিকার হয়ে নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগন্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন। হুমকির মুখে পড়েছে স্কুল,আশ্রয়ণ কেন্দ্র, মসজিদ মাদরাসা,চলমান স্কুল ভবন, বাজার, বিভিন্ন অফিসসহ শতশত বাড়িঘর ও ফসলি জমি। এছাড়াও ইতি মধ্যে কয়েক শত বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে এবং মানুষকে বানিয়েছে অসহায়।
জানা গেছে, বছরের রেশির ভাগ সময় নদী ভাঙ্গনের তান্ডব থাকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। সেই সাথে পানি কমলেও বাড়লেও থাকে ভাঙ্গনের তান্ডবলীলা। সেই তান্ডব প্রখর আকার ধারন করেছে। পানি বৃদ্ধি ও বৃষ্টির সাথে সাথে সুন্দরগন্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের পাড়া সাদুয়া,কাসিম বাজার,মাদারী পাড়া ও বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাবে ভাঙ্গনের তান্ডবলীলা দেখা দিয়েছে। সেই সাথে নিমিশেই গিলে খাচ্ছে সবকিছু তিস্তা। তিস্তার তান্ডবলীলায় ভাঙ্গছে বাড়িঘর, বিলীন হচ্ছে ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। সেই সাথে মানুষকে করছে নিঃস্ব বানিয়ে দিচ্ছে ফকির। ইউনিয়নের একমাত্র রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রায় ১০ হাজার মানুষের যাযয়াত এখন চরম দুর্ভোগে।