শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৩ অপরাহ্ন

Headline :
ভারতের লিখে দেওয়া ৭২ এর সংবিধান বাংলাদেশে চলবে না  —-নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন  রাজৈরে বিএমএসএফের নতুন কমিটি:সভাপতি ফেরদৌস; সম্পাদক সোহেল কুড়িগ্রামের  মনোয়ারা বেগমের সংগ্রামী জীবন  তারেক রহমানের পাঠানো  ঈদ উপহার মানিকগঞ্জ -১ আসনের অসহায় দরিদ্র তৃণমূল মানুষের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছেন এস এ জিন্নাহ কবীর ১০দিন বন্ধ থাকবে সোনাহাট স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি  খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায়  চিলমারী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে  পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ  কুড়িগ্রামে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত কাউনিয়া বালাপাড়া ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী যুবদলের ইফতার মাহফিল উলিপুরে হতদরিদ্রদের চাল ক্ষমতাসীনদের পেটে কুড়িগ্রামে স্কুল ব্যাগে মাদক পরিবহনের সময় ৪ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার-৩

হোসেনপুরে গাংগাটিয়া মানব বাবুর জমিদার বাড়ি পর্যটনের সম্ভাবনা

মোঃ এখলাছ উদ্দিন (রিয়াদ), স্টাফ রির্পোটারঃ
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের গাংগাটিয়া গ্রামে মানব বাবু জমিদার বাড়িতে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী ও পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে।সরকারের সামান্য পৃষ্ঠপোষকতা ও ও সহযোগিতা পেলে এই জমিদার বাড়িটি পর্যটন স্থান এ পরিণত হবে বলে মনে করেন স্থানীয় সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মুঘল সাম্রাজ্যের সময় মানব বাবু জমিদার বাড়িটির প্রতিষ্ঠা করেন দ্বীন নাথ চক্রবর্তী চৌধুরী। তিনি ভারতের আদি মূল চেন্নাই থেকে হোসেনপুরে  এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তিনি একজন খ্যাতনামা ও প্রজাবৎসল জমিদার ছিলেন। তার দুই ছেলের মধ্যে একজন মানবেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী চৌধুরী এলাকাতে মানব বাবু নামে পরিচিত। অপরজন তপন চক্রবর্তী চৌধুরী। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনী এই জমিদার বাড়িতে হামলা চালায়। মানব বাবুর পিতা দ্বীন নাথ চক্রবর্তী চৌধুরী ও পরিবারের অন্যান্যদের কে হত্যা করে। কিছুদিন পূর্বে তপন চক্রবর্তী চৌধুরী মারা যান।মানব বাবু , তার স্ত্রী ও বোনকে নিয়ে এ বাড়িতে বসবাস করতেছেন। তাদের ঘরে কোন সন্তানাদি নেই।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,মানব বাবু জমিদার বাড়ির প্রধান ভবনের দক্ষিণে নির্মিত মহাফেজ খানাটি অষ্টাদশ শতাব্দীর মুঘল সাম্রাজ্যের স্থাপত্য রীতি অনুসারে করা হয়। বর্তমানে এটি ধ্বংসাবশেষ।ইহার পাশেই খাজাঞ্চিখানা বিস্তৃত আয়তনে নির্মিত হয়েছিল। জমিদার বাড়ির সামনে রয়েছে শান বাঁধানো সুবিশাল পুকুর। এই পুকুরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত দেখা যায় না ,মনে হয় যেন অথৈ সাগর। অপরদিকে রয়েছে দেড় কিলো মিটার প্রস্থ মানব বাবুর বিস্তৃত মাছের প্রজেক্ট।
জমিদারি প্রথা বাংলাদেশের বিলুপ্ত হওয়ার পর অনেকদিন সংস্কার না করার কারণে মানব বাবু জমিদার বাড়ির কিছু অংশ ভেঙে যায়।পরবর্তীতে বর্তমান জমিদার বাড়িটি সংস্কার করে নতুনত্ব করে তোলেন। এই জমিদার বাড়ি ভবিষ্যৎ কোন উত্তরাধিকার  না থাকায় সরকারি কোষাগারের চলে যাবে।
এ সময় কথা হয় জমিদার বাড়ির মানব বাবুর সাথে। ‌ তিনি জানান, প্রতিদিন আমার বাড়ি দেখতে বহু দর্শনার্থী ও পর্যটক আসে। তবে আরো কিছু সংস্করণ ও দর্শনীয় কিছু জিনিষ সংযোগ করতে পারলে আরো লোকের সমাগম ঘটবে বলেও তিনি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *