
মা বেশ কিছুদিন আগে ছেড়ে গেছে। আব্বা ছিল পাশে। মা না থাকলেও আব্বার আদর পেতাম। কিন্তু এই বানের পানি আমাদের আব্বাকেও কেড়ে নিল, এখন হামাক কে আদর করবে? কেডা জামা বানিয়ে দিবে? দোকানে নিয়ে যাবে কে? হামার দুই বোনের কি হইবে? এমন নানা প্রশ্ন বানের পানিতে নিহত রিক্সা চালক ফিরোজের মেয়ে ফেরদৌসীর (৭)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রোববার গভীররাতে সবুজ পাড়া মাছাবান্দা নালার পাড় ব্রিজে বসে নিজ মনে বাঁশি বাজাচ্ছিলেন ফিরোজ। এ সময় সেখানে আশ্রয় নেয়া কয়েকজন তাকে বাঁশি বাজাতে নিষেধ করেন। পরে সেখান থেকে মধ্য মাছাবান্দা রাস্তা দিয়ে চলে যান তিনি। পরদিন ব্রিজের পাশে তার রিক্সা পড়ে থাকলেও তাকে আর পাওয়া যায়নি।আজ মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকার বিলে কয়েকজন মাছ মারতে গিয়ে তার লাশ দেখতে পান। এলাকাবাসী তার লাশ উদ্ধার করে।
রাস্তার পার্শ্ববর্তী কয়েকজন মহিলা জানান, তারা ঘটনার দিন ওই স্থানে চিৎকার ও গোঙানোর শব্দ শুনেছিল। এলাকাবাসীর ধারনা, রাস্তায় পানি আর স্রোত থাকায় হয়তো ঘটনাক্রমে পানিতে তালিয়ে যায় এবং মৃত্যুবরণ করে। তারা আরো জানান, নিহতের হাত থেকে একটি টর্চ লাইট পেয়েছেন। নিহত ফিরোজ উপজেলার মধ্য মাছাবান্দা নেচা বুদ্দিনের ছেলে। ফেরদৌসী (৭) ও সিমা (৪) নামে তার ছোট ছোট দুই মেয়ে রয়েছে।
. |