কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে বন্যার পানি কমতে শুরু করেই ফের বাড়ছে ধরলা ও তিস্তা নদীর পানি। বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ-বালাই। বন্যার্ত লাখ লাখ মানুষ দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছে। ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় লোকজন নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করলেও বন্যার পানির তোড়ে লণ্ড-ভণ্ড ঘরবাড়ি তাদের ভাবিয়ে তুলেছে। জেলার সাড়ে ৯ লাখ বানভাসী মানুষ বিশুদ্ধ খাবার পানি ও অপ্রতুল ত্রাণ তৎপরতায় রয়েছে চরম দুর্ভোগে।
এবারে বন্যায় এক হাজার ২৪৫ কিলোমিটার রাস্তা, ৪০ কিমি বাঁধ ও ৪১টি ব্রিজ/কার্লভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় দুই লক্ষাধিক গবাদিপশু পানিবন্দি। বন্যার কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজ মিলে এক হাজার ২৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে অস্বাভাবিকভাবে ধরলার পানি বেড়েছে ৪০ সেন্টিমিটার। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা সুলতানা পারভীন জানান, বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসন থেকে এখন ৮শ মে. টন জিআর চাল, ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৭ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৬ হাজার ৪২৮ মে. টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বন্যায় নিহত ১৬টি পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে ২০ হাজার টাকা করে ৩ লাখ টাকা।