
শাহীনুর রহমান শাহীন, পাবনা প্রতিনিধিঃ
শুধু ঢাকা বা চট্রগামই নয়, এবার ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে পাবনায়ও। গত তিনদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ জন পাবনা জেনারেল ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া বেসরকারি পর্যায়েও ২০-২১ জন ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ পাবনা শহরের মশা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে চিঠি পাঠিয়েছে। বিষয়টি শহরের মানুষকে উদ্বেগ ও আতঙ্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রঞ্জন কুমার দত্ত জানান, যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তারা পাবনার বাসিন্দা হলেও তাদের কেস স্টাডি করে দেখা গেছে, তাদের ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে। ঢাকা থেকে ফেরার পরপরই অনেকে জ্বরে আক্রান্ত হন এবং পরীক্ষা করে দেখা গেছে তাদের শরীরে ডেঙ্গু সংক্রমন ঘটেছে। পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও ২৫০ শয্যার পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই। তবে বাইরে থেকে ডেঙ্গু রোগীদের পরীক্ষা করার সুযোগ রয়েছে।
রঞ্জন কুমার দত্ত বলেন, আমাদের এমন কোন কিটস নেই যাতে আমরা ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করতে পারি। যখন রোগী আসে তখন আমরা এই রোগের পরীক্ষার জন্য পাইভেট ক্লিনিকগুলোতে স্থানান্তরিত করতে বাধ্য হই। ডেঙ্গু যদি সনাক্ত হয় তবে আমরা তাদের চিকিৎসা দেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই একটি হেল্প ডেস্ক খুলেছি এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে অনুরোধ করেছি’।
পাবনা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক (মেডিসিন) ডা. আব্দুস সাত্তার বলেন, “আমার ব্যক্তিগত চেম্বারে প্রতিদিনই ২/১ জন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী আসছেন। আমি গত ৫ দিনে অন্তত ১১ জনকে ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা দিয়েছি। রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি তারা সবাই ঢাকা থেকে রোগটি বহন করে এনেছেন”।
পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মির্জা মেহেদী ইকবাল বলেন, একটি সুখবর হল পাবনায় কোন এডিস মশা নেই। যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে তারা সবাই ঢাকা ফেরত। তারপরও আমরা শহরের মশা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে চিঠি পাঠিয়েছি। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ ও নির্দেশনা পেলে মশা পরীক্ষা এবং নিধনের ব্যাপারে কাজ শুরু করা হবে।