
জাহাঙ্গীর আলম, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ বলেছেন, রাজশাহীতে আটক ও গণধোলাইয়ের শিকার কেউই ছেলে ধরা নয়। দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে কুচক্রী মহল থেকে ছেলেধরা গুজব ছড়ানো হয়েছে। গুজব ছড়িয়ে কেউ ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ছেলেধরা গুজব আতঙ্ক প্রতিরোধে সচেতনতা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন একথা বলেন তিনি।
পুলিশ সুপার জানান, এখন পর্যন্ত রাজশাহীর গোদাগাড়ী, তানোর, বাগমারা ও চারঘাট উপজেলায় ছেলেধরা গুজব ছড়ানো হয়েছে। এসব এলাকা থেকে ছেলেধরা সন্দেহে স্থানীয়রা ১২ জনকে আটক করে এবং কাউকে কাউকে মারধরও করা হয়েছে। এর মধ্যে গোদাগাড়ীতে তিনজন, তানোরে দুইজন, বাগমারায় দুইজন ও চারঘাটে পাঁচজন ছিলেন। কিন্তু তারা কেউই ছেলেধরা ছিলেন না। এদের মধ্যে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন, দুইজন প্রতিবন্ধী ও পাঁচজন প্রতারক ছিলেন।
মো: শহীদুল্লাহ বলেন, দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্থীতিশীল করতে একশ্রেণির মানুষ এই গুজব ছড়াচ্ছে। গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে ছেলেধরা সন্দেহে কাউকে গণপিটুনি দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। কাউকে ছেলেধরা বলে সন্দেহ হলে আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করবেন এবং পুলিশকে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জানাবেন।
তিনি আরও বলেন, সচেতনতা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে রাজশাহী জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন, সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, থানা এলাকায় মাইকিং করা, মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের সচেতনতামূলক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাহামুদুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (সদর সার্কেল) সুমন দেব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতেখায়ের আলম ও সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রুবেল আহমেদ।