বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন
চিলমারী প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীতে চলমান বন্যার পানির তোড়ে দেড়’শ বছরের পুরাতন একটি
পাইকর গাছ রাস্তার উপর উপড়ে পরায় চিলমারী থেকে ফকিরের হাট, রাণীগঞ্জ, উলিপুর,
অনন্তপুর এবং কুড়িগ্রাম পর্যন্ত কোন যানবাহন রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে
পারছেনা। ব্যাহত হচ্ছে পথচারীদের চলাচলও। গত ৫দিন পূর্বে গাছটি ভেঙ্গে পড়লে অল্পের জন্য
দুটি পরিবারের লোকজনের কোন প্রাণহানী ঘটেনি। ৫ দিন থেকে গাছ দ্বারা রাস্তায়
চলাচল বন্ধ থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে সেটা আসেনি।
গত ৫ দিন পূর্বে বন্যার পানির তোড়ে উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের
উত্তরে রাধাবল্লভ এলাকার রাজারঘাট ব্রীজের সামান্য অদূরে উত্তর পার্শের দেড়’শ বছরের
একটি পুরাতন পাইকর গাছ রাত ১০টার সময় হঠাৎ রাস্তার উপড়ে উপড়ে পরে। এ সময় এর
ডাল, শাখা- প্রশাখা রাস্তার দূ‘পাশে বসবাসকারী জাবেদ আলী (৩৫)’র তিনটি ঘর,
আইয়ুব আলী (৫৭)’র ১টি ঘর, হারুন মিঞার ১টি ঘর ও একটি নুরাণী মাদ্রাসার টিনের
চালে পড়লে ঘরগুলি দুমরে মুচরে যায়। তবে সৌভাগ্য বসত ঘরে থাকা লোকজন হতাহত হয়নি।
বর্তমানে ৫ দিন যাবৎ রাস্তাটির উপর এবং বাড়ী ঘরের উপর গাছটি পরে থাকলেও, সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষ কোন খোঁজ খবর নেয়নি এবং গাছটি সারানোর কোন ব্যবস্থা নেয়নি মর্মে
গ্রামবাসীরা এ প্রতিনিধিকে জানান। সেখানকার বাসিন্দা বাদশা মিঞা বলেন,
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরন দেয়া তো দূরে থাক, কোন খোঁজ খবরই নিচ্ছে না। এ
ব্যাপারে থানাহাট ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দর রাজ্জাক মিলনের সাথে কথা হলে তিনি
জানান, গাছটি এলজিইডির। ইউনিয়ন পরিষদের নয়। যেহেতু গাছটি ভেঙ্গে পরে পাশের
নুরানী মাদ্রাসাটির ঘর ভেঙ্গে গেছে, সেহেতু তিনি ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান ও
উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার গ্রামবাসীদেরকে বলেছেন, তারা
যেন গাছটি কেটে নিয়ে নুরানী মাদ্রাসার গৃহ নির্মানে ব্যবহার করে। কিন্তু
গ্রামবাসীদের কথা, আপনারাই কাজটা করে দিন। সে কারণেই গাছটি রাস্তা থেকে
সরিয়ে নিতে বিলম্ব হচ্ছে।