![](http://www.channel69.tv/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
এম এ কে লিমন , বিশেষ প্রতিনিধিঃ
১৯৮৮ সাল থেকে খোলা আকাশের নিচে একই স্থানে বসে ভিক্ষা করে অাসছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম (৫০)।
রফিকুল কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ফারাজী পাড়া গ্রামের মৃত কাশিম আলীর পুত্র।
সোমবার (২৯ জুলাই) কুড়িগ্রাম-নাগেশ্বরী সড়কের চন্ডীপুর বাজার সংলগ্ন ফকিরের তকেয়া নামক স্থানে রাস্তার পাশে প্রতিবন্ধী রফিকুলের ভিক্ষা বৃত্তির চিত্র দেখা যায়।
জানা যায়, প্রতিবন্ধী রফিকুল কৃষক পরিবারের সন্তান। শারীরিক অক্ষমতার কারনে কোন পেশায় নিয়োজিত হতে না পারাই যুবক বয়স থেকেই ভিক্ষাবৃত্তিকেই অায়ের পথ হিসেবে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। এ পেশায় রফিকুলের প্রতিদিনের আয় হয় ১শ ৫০ থেকে ২শ টাকা। এই সামান্য আয় দিয়েই কোন রকমে চলে রফিকুলের ৪ সদস্য বিশিষ্ট পরিবার।
রফিকুল জানায়, আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী। দীর্ঘ ৩১ বছর ধরে খোলা আকাশের নিচে এই স্থানটিতেই বসে ভিক্ষা করে অাসছি। যেদিন ঝড়-বৃষ্টি হয় কিংবা প্রতিকুল আবহাওয়া থাকে সেদিন এখানে এসে ভিক্ষা করতে না পারায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে না খেয়েই দিন পার করতে হয়।
স্থানীয়- আলমগীর (৩০), মাসুদ রানা (২২), শফিকুল ইসলাম (২০) জানান, অামরা জন্মের পর থেকেই দেখে আসছি উনি এই জায়গাটিতেই বসে ভিক্ষা করে আসছেন। আমরা আশ্চর্য্য হই যে উনি কিভাবে এরকম খোলা আকাশের নিচে উত্তপ্ত রোদে বসে ভিক্ষা করেন। যদি কোন ব্যক্তি অথবা জনপ্রতিনিধি উনাকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রদান করতেন অথবা বসার জায়গাটিতে একটি টেউ টিনের ছায়লা তৈরী করে দিতেন তাহলে হয়তোবা উনার দুর্ভোগ কিছুটা কমে আসত।
পথচারী- রাসেল (৩৪) ও শেফালি (৩০) বলেন, আমরা এই পথ দিয়ে নিয়মিত চলাচল করি। আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন অসহায় এই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিটি সারাটি এই জায়গাটিতে বসে থেকে কয় টাকা আয় হয়।
ভিক্ষা দাতা- আকরাম হোসেন (৪৫) জানান, শারীরিক প্রতিবন্ধী রফিকুলের দূর্দশা দেখে খুবই কষ্ট পাই। তাই এই পথ দিয়ে গেলেই ৫/১০টাকা যা পারি উনাকে সাহায্য দিয়েই যাই।