শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৪ অপরাহ্ন

Headline :
ভারতের লিখে দেওয়া ৭২ এর সংবিধান বাংলাদেশে চলবে না  —-নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন  রাজৈরে বিএমএসএফের নতুন কমিটি:সভাপতি ফেরদৌস; সম্পাদক সোহেল কুড়িগ্রামের  মনোয়ারা বেগমের সংগ্রামী জীবন  তারেক রহমানের পাঠানো  ঈদ উপহার মানিকগঞ্জ -১ আসনের অসহায় দরিদ্র তৃণমূল মানুষের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছেন এস এ জিন্নাহ কবীর ১০দিন বন্ধ থাকবে সোনাহাট স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি  খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায়  চিলমারী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে  পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ  কুড়িগ্রামে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত কাউনিয়া বালাপাড়া ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী যুবদলের ইফতার মাহফিল উলিপুরে হতদরিদ্রদের চাল ক্ষমতাসীনদের পেটে কুড়িগ্রামে স্কুল ব্যাগে মাদক পরিবহনের সময় ৪ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার-৩

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি: ঘর-বাড়িতে ফিরলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসীদের***

এম এ কে লিমন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে. ঘরে ফিরেছে বেশির ভাগ বানভাসী মানুষ. তরে ঘরে ফিরলেও বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ ঘর-বাড়িতে দুর্ভোগ বেড়েছে তাদের. বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর রাস্তা-ঘাট ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ায় চলাচলেরও দর্ভোগ বেড়েছে তাদের.
তবে বন্যার পানির প্রবল ¯্রােতে ঘর-বাড়ি হারানো পরিবারগুলোর ঘরে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে. এসব পরিবার উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়ে পরিবার পরিজনসহ মানবেতর জীবন-যাপন করছেন.
এবারের বন্যা দীর্ঘ মেয়াদী হওয়ায় এবং ফসলের মাঠ এখনও পানির নীচে তলিয়ে থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন দিন মজুর শ্রেনীর মানুষেরা. এ অবস্থায় সরকারী-বেসরকারী ত্রাণের উপরই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন তারা. কিন্ত সে ত্রাণ সহায়তাও অপ্রতুল হওয়ায় খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন তারা.
বন্যার পানিতে দীর্ঘদিন তলিয়ে থাকায় জেলার 9 উপজেলায় প্রায় ২0 হাজার হেক্টর জমির উবশি ধান, বীজতলা, পটল ক্ষেত, ঢেড়স, মরিচসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত সম্পুর্ণরুপে নষ্ট হয়ে গেছে.
সদর উপজেলার পাঁছগাছী ইউনিয়নের পটল চাষী নুর ইসলাম জানান, আমি দুই বিঘা জমিতে পটলের আবাদ করেছিলাম. পটল বিক্রি করেই সংসারের খরচ চালাতাম. কিন্তু বন্যার পানিতে দীর্ঘ সময় তলিয়ে থাকায় তা সম্পুর্ণরুপে নষ্ট হয়ে গেছে.
বন্যা দুর্গতদের মাঝে প্রতিদিনই স্বল্প পরিসরে ত্রাণ বিতরন করছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন.
বন্যার শুরুর দিকে জেলা প্রশাসন থেকে জেলার বন্যা কবলিত সাড়ে 9 লাখ মানুষের জন্য 1 হাজার মেট্রিক টন চাল, 10 হাজার 5 শ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ২4 লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল. যা বরাদ্দ দেয়ার পরপরই বিতরণও শেষ হয়েছে. এরপরে আর নতুন করে কোন বরাদ্দ দেয়া হয়নি.
বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া, চর্মসহ নানা পানি বাহিত রোগ.


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *