
সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলায় শাহজাদপুর পৌরসভার বরখাস্ত মেয়র হালিমুল হক মিরুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
তবে বৃহস্পতিবার মামলার চার্জ গঠনের নির্ধারিত দিন থাকলেও আসামি পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ আগস্ট চার্জ গঠনে নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
চার্জ গঠনের দিন নির্ধারিত থাকায় কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আনা হয় মেয়র মিরুকে। এ সময় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকা অন্য আসামিরাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে আসামি পক্ষের আইনজীবী একরামুল হক মেয়র মিরুর জামিন ও চার্জ গঠনের সময় পেছানোর আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার শুনানি শেষে মিরুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। তবে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকা অন্য আসামিদের জামিন বহাল রাখেন।
বাদীপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু, রুস্তম আলী ও মোমিনুল ইসলাম বাবু। আসামি পক্ষে ছিলেন একরামুল হক ও আসলাম সরকার।
২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৌর মেয়র (বর্তমানে বরখাস্ত) হালিমুল হক মিরুর সমর্থকদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে মিরুর শর্টগানের গুলিতে সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুল মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার খাতুন মিরুকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নামসহ ২৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে শাহজাদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ একই বছরের ২ মে মিরু, তার ভাই মিন্টুসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলায় মিরু কারাগারে থাকলেও অপর ৩৭ আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।
পরে মামলাটি সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের জন্য গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তবে রহস্যজনক কারণে প্রায় ৭ মাস পর গত ১৪ জুলাই প্রজ্ঞাপনটি সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পৌঁছে।