
আলমগীর হোসাইনঃ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এ দেশের বিরোধী দলগুলোই সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা পাচ্ছে। বিরোধী নেতারা যখন যেখানে খুশি অবাধে যাচ্ছেন, বক্তব্য দিচ্ছেন। সরকার ও প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলছেন। এর পরও বিএনপির নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ কতটা গ্রহণযোগ্য, তার বিচার দেশবাসীই করবে। মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যুব মহিলা লীগ এ সভার আয়োজন করে। যুব মহিলা লীগ সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে এ সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল, কেন্দ্রীয় নেতা জাকিয়া সুলতানা মনি, কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, পারভীন খায়ের, সাবিকা আক্তার তুহিন, ফরিদা ইয়াসমীন ঝুমা. নিলুফার রহমান নীলু, তাহেরা খাতুন লুৎফা প্রমুখ। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উত্থাপিত নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘এদেশে বিরোধী দল যে নিরাপত্তা পাচ্ছে; মনে হয় না দক্ষিণ এশিয়ায় এত ভালো নিরাপত্তা আর কোনো দেশে আছে। সভা-সমাবেশ করলে বা করতে চাইলে কোনো হুমকিও দিচ্ছে না সরকার। এখন কেউ যদি সভা-সমাবেশ ডেকে ঘরে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখেন, তাহলে কার কী করার আছে?’ তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলামরা নিজেরাই নিজেদের গুটিয়ে ফেলেছেন। আন্দোলন করার সৎ সাহস তাদের নেই। তা ছাড়া দেশে এখন আন্দোলন করার মতো কোনো সাবজেক্টিভ কিংবা অবজেক্টিভ কন্ডিশনও নেই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অমানিশা চলছে’- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের নয়; অমানিশা চলছে বিএনপির রাজনীতিতে। তারা দিশেহারা পথিকের মতো ছুটে বেড়াচ্ছে। তারা যে ভাষায় কথা বলে, তা রাজনীতি বা গণতন্ত্রের ভাষা নয়।
রোহিঙ্গাদের সমাবেশ ও রাজনৈতিক দল তৈরির বিষয়ে আওয়ামী লীগের মূল্যায়ন জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব বিষয় সরকারের জানা আছে। সরকার রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য ও আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে পরিস্থিতি ঘোলা করা ও নোংরা খেলা খেলতে চায়, তাদের ওপরেও সরকার নজর রাখছে। উপযুক্ত সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোহিঙ্গাদের ওখানে বিদেশে থেকেও মদদ দেওয়া হচ্ছে।