নৌকোডুবির পর সমুদ্রে ৫ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস লড়াই করে কোনোভাবে প্রাণে বাঁচলেন ৩ মৎসজীবী। এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের সমুদ্রে।
খবর বলা হয়েছে, গত রবিবার ভোরে শঙ্করপুর থেকে ইঞ্জিনচালিত বোটে করে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন পূর্ব মোদিনীপুরের ৫ মৎস্যজীবী। দুর্ভাগ্যক্রমে শঙ্করপুর থেকে ১০ নটিক্যাল মাইল দূরে তাদের বোটটি খারাপ হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, ঢেউয়ের তোড়ে ফুটো হয়ে বোটটি ডুবেও যায়। তখন বাজে সন্ধ্যা ৭টা। তার পর থেকেই বাঁচার চেষ্টায় লড়াই শুরু করে তিন মৎসজীবী। এ সময় বোট ডুবে যাচ্ছে দেখে অপর দুই মৎস্যজীবী সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে দূরে একটি ট্রলারের আলো দেখে এগিয়ে যান।
তবে বোট হারিয়ে তেলের খালি ব্যারেল ও বাঁশ আঁকড়ে ধরে সমুদ্রে ভাসতে থাকেন ওই তিন মৎসজীবী। শেষ পর্যন্ত তারা ভাসতে ভাসতে রাত ১২টার দিকে এসে ওঠেন দীঘার ক্ষণিকা ঘাটে। পরে তাদের উদ্ধার করে দীঘা থানার পুলিশ। এদিকে অপর দুই মৎসজীবী আজ সোমবার ওয়ারলেসের মাধ্যমে পুলিশকে তাদের বেঁচে থাকার খবর জানান।
উদ্ধার হওয়া মৎসজীবী হলেন-চিংড়া ভূপতিনগরের শুকদেব মাঝি ও উত্তর ডিহিবাড়ের বিকাশ দাস ও নন্দকুমার নন্দ।
এর আগে জুলাই মাসে বঙ্গপোসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে মাঝ সমুদ্রে ট্রলার উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। ৫ দিন ভেসে থাকার পর জীবনযুদ্ধে জিতে বাড়ি ফিরেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মত্সজীবী রবীন্দ্রনাথ দাস। খাবার, পানি এমনকি লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই ৫ দিন সমু্দ্রে বেঁচেছিলেন তিনি।
সূত্র : জি নিউজ