মামুন অর রশিদ, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
চি লমারী উপজেলার রাজারভিটা ব্রহ্মপুত্র নদের পার থেকে থানাহাট পুরাতন বাজার পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার কাজে ঠিকাদারের সীমাহীন গাফিলতিতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন রমনা ঘাট থেকে আসা চরাঞ্চল,রমনা, রাজারভিটা ও রাস্তার পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা।
রৌমারী,রাজিবপুর উপজেলা সহ অষ্টমির চর,নয়ার হাট, রমনা ইউনিয়নের লোকজন চিলমারী উপজেলা পরিষদ ও থানাহাট বাজারে আসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দিয়েই প্রতিনিয়ত হাজার হাজার লোক যাতায়াত করে। অথচ প্রায় আট মাস আগে সড়কের কার্পেটিং ওঠানো সহ রাস্তাটি ভেঙে ফেলে রাখায় চলাচলে নাকাল হচ্ছেন জনগন। জানা যায় রাজারভিটা ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় হতে থানাহাট পুরাতন বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কি :মি: রাস্তা সংস্কার কাজের জন্য ঠিকাদার ৩৯,৩৪,২৯০/= টাকা বরাদ্দ পান। গত ফেব্রুয়ারী মাসে ঠিকাদারের লোকজন রাস্তার পুরাতন কার্পেটিং উঠিয়ে ফেলেন। এতে সম্পুর্ণ রাস্তায় খোয়া আর বালুতে ভরপুর হয়ে যায়। এর পর দীর্ঘ ৮ মাস ধরে কাজটি ফেলে রাখেন ঠিকাদার। অনেক সময় ধরে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ভেঙে এভাবে ফেলে রাখায় এ রাস্তা দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ফলে জনগনকে পায়ে হেটে খোয়ার উপর দিয়ে অতিকষ্টে চলাচল করতে হচ্ছে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত রোগী,উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে থানাহাট বাজারে আগত ক্রেতা বিক্রেতা,৩টি কলেজ,৩টি মাধ্যমিক স্কুল, ২টি প্রাথমিক স্কুল যাতায়াতে হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। রাজারভিটা এলাকার আব্দুস সালাম বলেন, কাজ ফেলে রাখায় একটু বৃষ্টিতে কাদা জমে আর রোদ উঠলে ধূলাবালীতে ভরে যায়। এ অবস্থায় চলাচল কঠিন হয়ে পরেছে। চিলমারী সরকারী কলেজের সহ:অধ্যাপক ইকবাল হোসেন বাদল বলেন, রাস্তা আগে তবু চলার উপযোগী ছিল। এখন সংস্কারের নামে রাস্তা ভেঙে রাখায় স্কুল কলেজের ছোট ছোট শিশু ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের এবং বৃদ্ধদের পথচলা ভীষণ কষ্টকর হয়ে পরেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আজিজার রহমান বলেন,ঠিকাদারকে বার বার তাগিদ দিলেও কাজটি করতে চেয়েও করছেন না। ঠিকাদার মিজানুর রহমান বলেন, ঘন বৃষ্টির কারণে কাজটি করতে দেরি হচ্ছে।