মাহফুজার রহমান মাহফুজ,ফুলবাড়ী,কুড়িগ্রাম
দিগন্তজুরে সবুজের সমারোহ। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে রোপা আমনের ক্ষেতজুরে এখন সবুজের হাসি। কয়েক দিন আগের টানা খরার কারনে মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল রোপা আমনের চারা। ফসল রক্ষায় উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে আমন ক্ষেতে পানি দিয়ে আসছেন চাষীরা। বইতে হয়েছে বাড়তি খরচের বোঝা। তবে গত রাত হতে ভারী বর্ষনের কারনে স্বস্তি ফিরেছে আমন চাষীদের মনে। বৃষ্টির ফলে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন এঅঞ্চলের আমন চাষীরা। ভারী বৃষ্টির ফলে জমিতে এখন পর্যাপ্ত পানি জমেছে।কৃষকেরাও রেহাই পেয়েছেন বাড়তি খরচের হাত থেকে।
উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামের আমনচাষী সিরাজুল ইসলাম ও বাদল সরকার বলেন গত কয়দিনের খরার কারনে আমনের আবাদ নিয়ে চিন্তায় ছিলাম।বৃৃষ্টি হওয়ার কারনে আমরা এখন স্বস্তিতে আছি। বাড়তি খরচ করে জমিতে আর পানি দেয়া লাগবে না। ঘোগারকুটি গ্রামের কৃষক মকছেদুল বকসী বলেন, আমন চাষাবাদ অনেকটাই বৃষ্টি নির্ভর। বৃষ্টি না হলে নানান প্রকার রোগ বালাইয়ে আক্রান্ত হয়ে আমনের ফলন কমে যায়। বেশি ফলনের আশায় ক্ষেতে বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক দিতে হয়। এখন বৃৃষ্টি হচ্ছে তাই ক্ষেতে আর কীটনাশক ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এবার ফুলবাড়ীতে ১১হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে আমনের চারা রোপন করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও কৃষকরা বাম্পার ফলন পাবেন বলে সংশ্লিষ্ট সকলেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।