চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
জালিয়াতির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের (ইসি) চারজন অস্থায়ী কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। রোববার সকালে নগরের লাভলেইন জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ হেফাজতে নেওয়া ৪ কর্মী হলেন- কোতোয়ালী নির্বাচন অফিসের শাহীন ও ফাহমিদা, ডবলমুরিং নির্বাচন অফিসের পাভেল বড়–য়া এবং বন্দর নির্বাচন অফিসের মো. জাহিদ। চারজনই অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া নির্বাচন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ সমকালকে বলেন, ‘জয়নালের দেওয়া জবানবন্দিতে বেশ কয়েকজনের নাম এসেছে। যাদের নাম এসেছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। যাচাই বাছাই করে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’ চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হুসেইন খান বলেন, ‘ওই চারজন নির্বাচন অফিসে অস্থায়ী নিয়োগে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।’ গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। অপর দুইজন হলেন বিজয় দাস ও তার বোন সীমা দাস ওরফে সুমাইয়া আকতার। জয়নালের কাছ থেকে নির্বাচন কার্যালয়ের খোয়া যাওয়া একটি ল্যাপটপ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার ইসির আরেক কর্মী মোস্তফা ফারুককে দুইটি ল্যাপটপ ও বিভিন্ন সরঞ্জামসহ গ্রেফতার করা হয়।গত শনিবার জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন জয়নাল আবেদীন। যেখানে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত নির্বাচন কমিশনের ঢাকা ও চট্টগ্রামের পদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন জনের নাম প্রকাশ করেছেন তিনি। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই চারজনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।