
বর্তমানে দেশে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষরা ইয়াবা ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘যেভাবে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা হয়েছে, সেভাবে সম্পূর্ণরূপে মাদক নির্মূল করা হবে; সেদিন বেশি দূরে নেই। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে অধিকাংশ ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ হয়েছে। তবে এখন ইয়াবার বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে রোহিঙ্গারা। মানবিক দিক বিবেচনায় সরকার তাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছে। আর তারাই এখন মাদক ও সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়াচ্ছে।’ শনিবার বিকাল ৩টায় টেকনাফ বাসস্টেশনে জেলা পুলিশের আয়োজনে ইউএনডিপির সহযোগিতায় ‘সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। এসপি মাসুদ হোসেন বলেন, ‘সরকারপ্রধানের নির্দেশে জঙ্গিবাদ, মাদক, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন ও ইভটিজিংসহ সব ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে পুলিশ। আমরা দুর্নীতি এবং দুর্নীতিবাজদের ঘৃণা করি। পুলিশের কোনও সদস্য যদি মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ত থাকেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ রেহাই পাবে না। জেলা কারাগারে চার হাজার ৩শ’ বন্দি রয়েছে। এর মধ্যে তিন হাজার ২শ’ মাদক মামলার আসামি।’ তিনি বলেন, ‘যেহেতু পুলিশের সংখ্যা কম, সমাজে পুলিশের ভূমিকায় কাজ করা এবং পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করাই হলো কমিউনিটি পুলিশের কাজ। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, কমিউনিটি পুলিশ সদস্যদের গায়ে হাত তুললে, উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।’
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন– ইউএনডিপির কনসালটেন্ট ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু বক্কর, উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি নুরুল হুদা প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন পৌর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হোসাইন প্রমুখ।