
মোঃ এখলাছ উদ্দিন (রিয়াদ), বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া থাকায় উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাটের
আবাদ হয়েছিল ব্যাপকভাবে । কৃষকের সঠিক পরিচর্যা ও যত্নেরগুনে পাটের গাছগুলো অনেক লম্বা ও
মোটা আঁশে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু পানির অভাবে পাট জাগ দিতে না পারা, শ্রমিক খরচ ও বন্যাসহ
নানাবিধ কারণে সঠিক সময়ে পাটের আঁশ সংগ্রহ করতে পারেনি স্থানীয় কৃষক। এদিকে পাটের বীজ
ক্রয়, জমি চাষ, পাটক্ষেতে নিড়ানি, ও পাট কর্তনসহ আনুষঙ্গিক খরচ হয়েছিল কৃষকের অনেক বেশি।
কিন্তু সঠিক সময়ে পাটের আঁশ সংগ্রহ করতে না পারায় কৃষকের লোকসান গুনতে হয়েছে। তবে এখন
দেশে পাটখড়ির ব্যাপক চাহিদা থাকায় ওই পাটকাঠির দাম অনেক বেশি। ফলে পাট চাষের যে
লোকসান হয়েছিল, পাটকাঠি অধিক দামে বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে স্থানীয় কৃষকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় সরকার নির্ধারিত ভালো মানের তোষাপাটের বাজার ১৪শ
টাকাথেকে ১৪৫০টাকা, নিম্নমানের পাটের দাম ১৩শ টাকা ১৩৫০টাকা দামে ক্রয় করা হচ্ছে। কিন্তু
কৃষকের উৎপাদিত খরচ বর্তমান পাটের বাজারমূল্য চেয়ে বেশি।
সরেজমিনে উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের চরকাটিহারী, চর হাজিপুর, সিদলা ইউনিয়নের সাহেবের
চর, পিতলগঞ্জ, আড়াই বাড়িয়া ইউনিয়নের চর জামাইল গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে, এলাকায় প্রতিটি গ্রামে
গ্রামে পাইকারি ক্রেতারা পাটকাঠি কিনতে ব্যস্ত। পাটকাঠি মন প্রতি ৬শটাকা থেকে সাড়ে ৭০০ টাকা মণ
দরে বিক্রি হচ্ছে। কয়েকটি পাটকাঠি দিয়ে বাঁধা আঁটি ৫০থেকে ৬০ টাকা বিক্রি করছেন কৃষক।
এসময় উপজেলার চরকাটিহারী গ্রামের পাট চাষী স্বপন মিয়া, সাহেবের চর গ্রামের পাট চাষী আবুল
হোসেন, জামাইল গ্রামের পাট চাষী সোহাগ মিয়াসহ অনেকেই জানান, পাট চাষ করে যে লোকসান
হয়েছিল এখন পাটকাঠি বিক্রি করে লাভবান হতে সক্ষম হচ্ছি। আগামী বছর পাটের আবাদ অধিক
করবেন বলেও জানান তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমরুল কায়েস জানান, উপজেলায় পাটকাঠি অধিক চাহিদা
থাকায় পাট চাষীরা বেশি দামে বিক্রি করতে সক্ষম হচ্ছেন।