মোঃ এখলাছ উদ্দিন (রিয়াদ), বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি ধারণ করা হয়েছে।আয়োজকরা
জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে আমাদের ঐতিহাসিক, প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক ও নৃতাত্ত্বিক বৈচিত্র্য এবং
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা স্থানগুলোয় গিয়ে অনুষ্ঠানটি নির্মাণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায়
এবারের পর্বের জন্য কিশোরগঞ্জের হাওরের মাঝখানে দ্বীপের মতো ভেসে থাকা মিঠামইনের হামিদ
পল্লীকে নির্বাচন করা হয়েছে
তারা আরও জানান, অনুষ্ঠানের দৃশ্যধারণের দিন সকাল থেকেই কিশোরগঞ্জ শহর, করিমগঞ্জ, ইটনা,
অষ্টগ্রাম, ভৈরব, নিকলী, কটিয়াদী, হোসেনপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত নৌকা-
ট্রলারে করে হাজার হাজার মানুষ এসেছিল হামিদ পল্লীতে। হাওরের মাঝখানের এই দ্বীপটি পরিণত
হয়েছিল জনসমুদ্রে। এত দুর্গম অঞ্চলে অনুষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও অনুষ্ঠানস্থলে প্রায় লক্ষাধিক দর্শক সমাগম
হয়েছিল। সেসব দর্শকের উপস্থিতিতে নান্দনিক বিষয়বস্তু তুলে ধরার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি
ক্যামেরাবন্দি করা হয়।
এ ছাড়া থাকছে কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া একটি দেশাত্মবোধক গান। পাশাপাশি কিশোরগঞ্জের সৃষ্টিকথা
ও বীরগাথা নিয়ে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথায়, হানিফ সংকেতের সুর ও মেহেদীর সঙ্গীতায়োজনে
আরেকটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন দেশবরেণ্য নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নিপা। তার সঙ্গে
নৃত্যে অংশগ্রহণ করেছেন কিশোরগঞ্জ, করিমগঞ্জ ও মিঠামইনের শতাধিক নৃত্যশিল্পী। নাচটিতে
লাঠিখেলা দেখিয়েছে ওসমান গণির নেতৃত্বে বোয়াই জমিদার বাড়ির ঐতিহ্যবাহী লাঠিয়াল দল।
নাচের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রতিক হাসান ও তানজিনা রুমা। গান ছাড়াও দর্শকদের সঙ্গে আঞ্চলিক
ভাষার নাট্যাংশে অংশ নিয়েছেন অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। এ ছাড়া নিয়মিত পর্বসহ থাকছে
সমসাময়িক বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস নাট্যাংশ। এতে অভিনয় করেছেন- সোলায়মান খোকা,
জিয়াউল হাসান কিসলু, কেএস ফিরোজ, শবনম পারভীন, আবদুল কাদের, আফজাল শরীফ, সুভাশিষ
ভৌমিক, কামাল বায়েজিদ, বিলু বড়ূয়া, তারিক স্বপন, মনজুর আলম, কাজী আসাদ, শাহানা নিসা
প্রমুখ। অনুষ্ঠানের রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত।
৪ অক্টোবর রাত ৮ টার বাংলা সংবাদের পর বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে ইত্যাদি প্রচার হবে।
