
যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী দেশ ছেড়ে পালাবেন না বলে জানিয়েছেন। সংগঠন নিয়ে চরম হতাশা সৃষ্টি হলেও তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।
সোমবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সংক্ষিপ্ত টেলিসাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ব্যাংক হিসাব তলবের পর থেকে অনেকটা আত্মগোপনে রয়েছেন ওমর ফারুক চৌধুরী। রোববার পর্যন্ত টানা চারদিন প্রকাশ্যে কোথাও দেখা যায়নি তাকে। ব্যক্তিগত কার্যালয় হিসেবে পরিচিত ধানমণ্ডির যুব জাগরণ কার্যালয়েও যাননি। এমনকি তার ধানমণ্ডির বাসায় খোঁজ নিয়েও সাক্ষাৎ মেলেনি।
এর মধ্যে রোববার যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেফতারের পর ওমর ফারুকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। ফলে যুবলীগ চেয়ারম্যানকে ঘিরে সৃষ্টি হয় নানা প্রশ্ন আর কৌতুহল। এ পরিস্থিতিতে সোমবার চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে টেলিফোনে তিনি জানান, যদি আমার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা হয়, তাহলে আমি কেন যাব? বিচারক তখনই শাস্তি দিবে যখন অপরাধী পালিয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি মনে করে আমি অপরাধী, নিশ্চয়ই তারা দালিলিক প্রমাণ নিয়ে কাজ করবে, আমি পালাবো কেন? আমি তো রাজনীতি করেছি।’ চলমান অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাকে ধরবে তাকেই বহিস্কারের সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘একেকটা কথা একেক সময় শুনে মন ভেঙে যায়, মন ভেঙে ছয় টুকরা হয়ে যায়।’ সংগঠন নিয়ে চরম হতাশা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন বলে জানান। গণমাধ্যমে বিভিন্ন সংবাদে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।