বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন এক শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ হাতে লেখা বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত পোস্টার নিয়ে একাই এই কর্মসূচি পালন করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা অবস্থানের পর তাকে উঠিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমি মনে করেছি একজন ছাত্র হিসেবে এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করা উচিত। তাই একাই প্রতিবাদ করেছি। আমি আবরার হত্যার বিচার চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রেজাউল করিম বলেন, আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। বাকিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে সরকার। বিষয়টি তাকে জানানোর পর সে নিজ থেকে অবস্থান স্থগিত করে উঠে গেছে। এদিকে নগরের ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশনে আবরার হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা অবিলম্বে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতিই ছাত্রদেরকে এসব অপকর্মের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যার ফলে তারা স্বৈরাচারী আচরণে অবতীর্ণ হয়ে হত্যার মত একটি অপরাধকে বৈধতার দেওয়ার চেষ্টা করছে। অবিলম্বে আবরার হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া আবরার হত্যায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন। সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তারা বলে, এর আগেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিবির সন্দেহে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর ও শারীরিক লাঞ্ছনার সম্মুখীন হতে দেখেছি। যার সর্বশেষ পরিণতি আবরার হত্যা। অবিলম্বে আবরার হত্যার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে এবং শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসমুক্ত ছাত্ররাজনীতির পরিবেশ তৈরি করতে হবে।