চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহ আলম হত্যার ‘মূল হোতা’ নজির আহমেদ সুমন ওরফে কালু (২৬) র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
বুধবার ভোররাতের দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের হাবিব রোড এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে র্যাব। নিহত নজির সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। সীতাকুণ্ডের কুমিরা বাইপাস এলাকা থেকে গত শুক্রবার সকালে ডা. শাহ আলমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে শনিবার রাতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
র্যাব জানায়, এই মামলায় মঙ্গলবার সকালে মো. ফারুক নামে এক লেগুনাচালককে গ্রেপ্তার করা হয়। একইদিন বিকেলে ফারুক চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শিপলু কুমার দের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন, যেখানে তিনি হত্যার মূল হোতা হিসেবে নজির আহমেদের নাম উল্লেখ করেন। সীতাকুণ্ড মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত)) শামীম শেখ বন্দুকযুদ্ধের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তারা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নজির আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন। নজির আহমেদের বুকে তিনটি ও পেটের বাঁ পাশে একটি গুলি লেগেছে। র্যাবের চান্দগাঁও ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ জানান, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল– চিকিৎসক শাহ আলম হত্যার মূল হোতা নজির আহমেদ উত্তর বাঁশবাড়িয়া হাবিব রোড এলাকায় অবস্থান করছেন। তাকে গ্রেপ্তারে র্যাবের একটি দল রাত ৩টার দিকে ওই এলাকায় যায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে নজির আহমেদ দলবল নিয়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে নজির আহমেদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে সীতাকুণ্ড থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ নজিরকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, চিকিৎসক হত্যা মামলায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার লেগুনাচালক ফারুক মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেখানে তিনি হত্যার মূল হোতা হিসেবে নজির আহমেদের নাম উল্লেখ করেন।