বৃহস্পতিবার , ডিসেম্বর ৭ ২০২৩
Home / জাতীয় / শিক্ষার্থীদের নম্বরপত্র হারিয়ে ফেলেছেন শিক্ষক **

শিক্ষার্থীদের নম্বরপত্র হারিয়ে ফেলেছেন শিক্ষক **

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক জয়নাব বিনতে হোসেনের বিরুদ্ধে অফিস আদেশ উপেক্ষা করে ভ্রমণে ব্যস্ত থাকাসহ বিভাগের শিক্ষার্থীদের নম্বরপত্র হারিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা ফল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষক জয়নাব বিনতে হোসেন চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার বিষয়ে ছুটি নিয়েছিলেন। অফিস আদেশে বলা হয়েছিল চিকিৎসা শেষে পুনরায় কর্মস্থলে যোগদানের কথা। কিন্তু নির্ধারিত ছুটি শেষ হলেও তিনি কর্মস্থলে যোগদান না করায় সাবেক ভিসির পরামর্শক্রমে ওই শিক্ষককে অবৈতনিক ‘অসাধারণ ছুটি’-তে পাঠানো হয়।’

এদিকে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ২য় বর্ষের ২য় সেমিস্টারের মৌখিক পরীক্ষার নম্বরপত্র হারিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

ওই বর্ষের শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা যথাযথ সময়ে দিয়েছি। এতদিন পরে এসে জানতে পারলাম শিক্ষক জয়নাব বিনতে হোসেন আমাদের নম্বরপত্র হারিয়ে ফেলেছেন। এখন আমরা ফলাফল নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগটির একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, জয়নাব বিনতে হোসেন চিকিৎসার জন্য ছুটি নিয়ে  ভারতের পাহাড়-পর্বতে আরোহণসহ বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণে ব্যস্ত রয়েছেন। এছাড়া তিনি বিভাগে থাকাকালীন সময়ে ক্লাস-পরীক্ষার বিষয়ে উদাসীন ছিলেন। ক্লাস না নিয়েই তিনি দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াতেই পছন্দ করেন। পরীক্ষার নম্বরপত্র হারিয়ে ফেলা তার পক্ষে অসম্ভব কিছু না।

নম্বরপত্র হারিয়ে ফেলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম গোলাম হায়দার বলেন, ‘বিষয়টি একজন শিক্ষকের কাছ থেকে মোটেও কাম্য নয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেব।’

এদিকে চিকিৎসার কথা বলে ভ্রমণের বিষয়টি অস্বীকার করে শিক্ষক জয়নাব বিনতে হোসেন বলেন, ‘আমি পাহাড়-পর্বতসহ বিভিন্ন স্থানে অবৈতনিক ছুটি নিয়ে ঘুরেছি। গবেষণার জন্য আমাকে শিক্ষা ছুটি না দেয়ায় বাধ্য হয়ে অবৈতনিক ছুটি নিয়েছি।’

তবে গবেষণার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

অপরদিকে নম্বরপত্র হারিয়ে ফেলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিভাগের সাবেক সভাপতি সবকিছুর দায়িত্বে ছিলেন। তিনিই এই বিষয়ে জানেন। আমি কিছু বলতে পারব না।’

বিভাগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি ব্যস্ত থাকায় শিক্ষক জয়নাব বিনতে হোসেনকে মৌখিক পরীক্ষার দায়িত্ব দিয়েছিলাম, কিন্তু তিনি পরীক্ষা শেষে আমার কাছে বা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে নম্বরপত্র দেননি। পরবর্তী সময়ে তিনি মৌখিকভাবে জানান নম্বরপত্র হারিয়ে গিয়েছে।’

About admin

Check Also

মধ্যরাতে নিষেধাজ্ঞা শেষ, জেলেপাড়ায় খুশির আমেজ

নিষেধাজ্ঞা শেষে মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরতে নামবে জেলেরা। জেলেপাড়ায় তাই খুশির আমেজ। তবে ডিম দিয়ে …

দরজা বন্ধ হয়নি, আলোচনায় রাজি আছি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনপির সঙ্গে সংলাপে সরকার রাজি আছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘দরজা তো বন্ধ …

বাংলাদেশিদের জন্য সব ধরনের ভিসা বন্ধ করলো ওমান

বাংলাদেশিদের জন্য সব ধরনের ভিসা স্থগিত করলো ওমান। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *