কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ প্রশাসন মৃত শারমীন আক্তার (২৮) মৃত্যুর কারন উদঘাটন ও আসামী সনাক্ত এবং স্বামী মাঈদুল ইসলাম বাবু (৩৫) কে আটক করেছে। চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের মধ্যে এটি অন্যতম।
ঘটনার স্থানীয় স্বাক্ষী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হাটির পার গ্রামে গত ০৯/১০/১৯ইং শারমিন আক্তার স্বামীর নিজ ঘরে মৃত অবস্থায় বিছানায় পরে আছে। সদর থানা পুলিশ খবর পেয়ে সকালে হাটিরপার তার স্বামীর ঘড় থেকেে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুড়িগ্রাম সরকারী হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে। মৃত শারমীনের মা গত ১০/১০/১৯ইং বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় যৌতুকের দাবীতে মারপিট ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। কুড়িগ্রাম সদর থানা মামলা নং -১৫। মামলার প্রধান আসামী মৃত শারমীন আক্তারের স্বামী মাঈদুল ইসলাম বাবু। পিতা মোহাম্মদ আলী সাং হাটির পার কুড়িগ্রাম পলাতক থাকা অবস্থায় মামলার তদন্ত কার্যক্রম ও আসামী গ্রেফতারে চেষ্টা চালানো হয়।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম এর তত্বাবধানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বগুড়া ও ঢাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মাঈদুল ইসলাম বাবুকে গত ২০/১০/১৯ ইং তারিখে ঢাকার কমলাপুর থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
এরপর ২১/১০/১৯ইং আসামী মাঈদুল ওরফে বাবু বিঞ্জ আদালতে তার স্ত্রী শারমীন আক্তার (২৮) কে পারিবারিক কলহের জের ধরে গলা টিপে হত্যা করে মর্মে স্মীকারক্তিমুলক জবানবন্দী প্রদান করে।
বর্নিত মামলার যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করে অতি অল্পসময়ের মধ্যে আসামী মাঈদুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগপত্র বিজ্ঞ আদালতে পেশ করা হবে।
খুনের রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার বিষয়ে এক প্রেস বিঞ্জপ্তি এ কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম বলেন, জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর হাতেই খুন হলেন স্ত্রী শারমীন আক্তার। আসামী পলাতক থাকার পরও দ্রুত সময়ে জেলা পুলিশ প্রশাসন উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীর অবস্থান নির্নয় করে গ্রেফতার করে এবং খুনের রহস্য উদঘাটন হয়। জেলায় যে কটি ঘটনা আছে প্রত্যেকটির বিষয়ে আমরা দক্ষতার সাথে কাজ করছি, শিপন হত্যা মামলা ও শারমীন হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষের পথে। জেলার আইনশৃংখলা রক্ষায় ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ প্রশাসন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।