
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সোনাগাজীর সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। আগামী ২৮ নভেম্বর রায় ঘোষণা করা হবে।
বুধবার রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
গত ১২ নভেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। এরপর ১৪ নভেম্বর নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন ওসি মোয়াজ্জেম। আদালতে ওসি মোয়াজ্জেমের পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী আবু সাঈদ সাগর ও ফারুক আহম্মেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পিপি নজরুল ইসলাম শামীম।
গত ১৫ এপ্রিল মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আদালত মামলাটি তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা মামলাটি তদন্ত করে ২৩ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১৭ জুলাই অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে এ মামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত তার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করলে ওসি মোয়াজ্জেম তাকে থানায় ডেকে জবানবন্দি নিয়েছিলেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, মোয়াজ্জেম বেআইনিভাবে মোবাইল ফোনে নুসরাতের জবানবন্দির ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইসলামিয়া মাদ্রাসার অস্টম শ্রেনীর ছাত্রী নুসরাতের মৃত্যু হলে গত ১৫ এপ্রিল ওসি মোয়াজ্জেমকে আসামি করে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ব্যারিস্টার সুমন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ওই অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর গত ২৭ মে তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। পরে নুসরাতের মৃত্যুর পর ওসি মোয়াজ্জেমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর ১৬ জুন হাইকোর্ট এলাকা থেকে মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।