
সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর বাজারে লবণের দাম বেশি চাওয়ায় এক দোকান কর্মচারীকে ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করেছে এক ক্রেতা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হক জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হানিফ সওদাগরের দোকানে লবণ কিনতে যান সোনাপুর গ্রামের বেলু মিয়ার ছেলে সুমন। এ সময় লবণের দাম বেশি চাওয়ায় দোকান কর্মচারী আইয়ুব খানের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয় তার। এর এক পর্যায়ে আইয়ুবের নামে-মুখে ঘুষি মারেন সুমন। এতে তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে চিকিৎসা করান।
সুমন জানান,তারা ২৫ টাকার লবণ ৪০ টাকা করে বিক্রি করছিল। এ সময় তিনি দোকান কর্মচারী আইয়ুবকে বেশি দাম না নিতে অনুরোধ করলে সে খারাপ ব্যবহার করে। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে উপস্থিত লোকজন তাকে পিটিয়ে আহত করে।
দোকান মালিক হানিফ সওদাগর বলেন, বাড়তি দামে লবণ বিক্রি করা হয়নি। লবণ কিনতে অনেক লোক দোকানের সামনে ভিড় করেন। আমার কর্মচারী দোকানের সামনে ভিড় করতে নিষেধ করলে তাকে ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করেন সুমন।
ক্রেতা আব্দুস সালাম,ফকির আহমদ,আব্দুল আউয়াল জানায়, মঙ্গলবার সব ব্যবসায়ী নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে লবণ বিক্রি করছিলেন। উপস্থিত লোকজন প্রতিবাদ শুরু করলে পুলিশ আসার খবরে অসাধু ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। কয়েকজন ব্যবসায়ী পরে এসে বাড়তি টাকা ফেরত দেন।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুর থেকে লবণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার গুজবে উপজেলার প্রায় সব বাজারে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। এ সুযোগে ব্যবসায়ীরা দ্বিগুন দামে লবণ বিক্রি করে। সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইউএনও অজিত দেব উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের বক্তারমুন্সি বাজারে অভিযান চালান। এ সময় তিনি বেশি দামে লবণ বিক্রি করায় বাজারের ব্যবসায়ী নিতাই চন্দ্র সেন ও দুলাল হোসেনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। বুধবারও উপজেলার মানুমিয়ার বাজার,জমাদারবাজার,কাজিরহাট বাজার,নুরানি বাজারসহ অনেক বাজারে বাড়তি দামে লবণ বিক্রি করতে দেখা গেছে।