
যুবলীগের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, এখন নতুন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শুদ্ধি অভিযান। এই অভিযান সফল করতে হবে। যুবলীগের ত্যাগী কর্মীরাও এটা চান। চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফল হবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে শেখ ফজলে শামস পরশ এসব কথা বলেন। গত ২৩ নভেম্বরের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসে যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর পরশ প্রথমবারের মতো যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। তার সঙ্গে সংগঠনের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলও ছিলেন। এ সময় কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা সংগঠনের শীর্ষ দুই নেতাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন।
হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলার রায় প্রসঙ্গে পরশ বলেন, হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলার বিচার মাত্র তিন বছরের মধ্যে শেষ হয়েছে। এতে বোঝা যায়, জঙ্গি দমনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সরকার কতটা ‘সিরিয়াস’।
আগামী ৪ ডিসেম্বর যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির জন্মদিন দেশব্যাপী পালনের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, যুবলীগ তার বাবা শেখ ফজলুল হক মনির হাতে গড়া সংগঠন।
এই সংগঠনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই তার প্রধান কাজ। নেতাকর্মীদের ভালোবাসা পেয়ে তিনি বিস্মিত, কৃতজ্ঞ। চেয়ারম্যান নয়, যুবলীগের একজন কর্মী হিসেবেই কাজ করতে চান তিনি।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, যুবলীগে কোনো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, টেন্ডারবাজ ও মাদকাসক্ত ব্যক্তির স্থান হবে না।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন যুবলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ। উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট বেলাল হোসাইন, অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু, মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, মঞ্জুর আলম শাহিন, অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, বদিউল আলম, ফজলুল হক আতিক, আবু আহম্মেদ নাসিম পাভেল, তাজউদ্দীন আহমেদ, জাকির হোসেন বাবুল, ইসমাইল হোসেন, মাইনুদ্দিন রানা, রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা-ধাক্কাধাক্কি : এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এলে তাদের সঙ্গে সেলফি ও ছবি তুলতে হুড়োহুড়ি শুরু করেন নেতাকর্মীরা। এতে সেখানে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ঘটে ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও।
এ সময় কেন্দ্রীয় নেতারা বারবার মাইকে শৃঙ্খলা বজায় রাখার কথা বললেও কোনো কাজে আসেনি। এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিকও হেনস্তার শিকার হন।