মোঃ মজিবর রহমান,নাগেশ্বরী প্রতিনিধি;
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় কচাকাটা থানার কচাকাটা বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন ব্রীজটি সংস্কার না করায় ক্রমেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পথচারীদের মরণ ফাঁদে পরিনত হচ্ছে। চলাচলে পথচারীরা একটুখানি এদিক সেদিক হলেই শিকার হচ্ছেন নানা দূর্ঘটনার। ঝুঁকি এড়াতে বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করেন কচাকাটা ও কেদার ইউনিয়নের ৮টি গ্রামের হাজারো মানুষ সহ কচাকাটা কলেজ,কচাকাটা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়,কচাকাটা বহুমুখী দাখিল মাদ্রাসা,কচাকাটা বহুমুখী বালিকা বিদ্যালয়,কেদার মহিলা মহা বিদ্যালয়,কচাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,শিশু নিকেতন কচাকাটা বাজার,কচাকাটা রেসিডিয়ান্সের শতশত শিক্ষাথীর্রা ও বিজিবি জোয়ানরা। ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রীজটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে বিগত দিনে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন অনেকেই। অথচ পথচারী ও ছাত্র/ছাত্রীদের যাতাযাত ঝুঁকিমুক্ত ও ব্রীজটি সংস্কারে কোনো উদ্ব্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়- কচাকাটা বাজার থেকে সাতানা,টাপু,নওদাপাড়া,জিঞ্জিরা বালার চর ও কচাকাটা বিজিবি ক্যাম্পগামী রাস্তার কচাকাটা বাজার মসজিদ সংলগ ৩০ ফুট দৈর্ঘের ব্রীজটি ২০০৪ সালে উপজেলা ত্রাণ শাখার অর্থায়নে নির্মিত হয়। নির্মানের পর ব্রিজটি দিয়ে কেদার ও কচাকাটা ইউনিয়নের ৮টি গ্রামের হাজারো মানুষ সহ কচাকাটা থানার ছোট বড় প্রায় ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রী ও বিজিবি ক্যাম্পের জোয়ানরা এবং ছোট বড় অনেক ভারী যানবাহন চলাচল করে আসছিল। এমনি অবস্থায় গত ৩/৪ মাস আগে ব্রিজটির মাঝ বরাবর ঢালাই খসে গিয়ে রড বেড়িয়ে যায়,দেখা যায় ভাঙ্গা অংশ দিয়ে নিচের পানি । আরো জানা যায়, ব্রীজের দুপাশের রেলিং এর কোনো কোনো অংশ ভেঙ্গে গেছে অনেক আগেই। তবুও থেমে থাকেনি যান চলাচল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন পথচারীসহ ছাত্র ছাত্রীরা। যাতায়াতে একটুখানি সতর্কতা অবলম্বন না করলে ঘটতে পারে ছোট বড় সব দূর্ঘটনা,বিগত দিনে অনেকেই দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন এমনটি জানা গেছে অনেকের কাছ থেকেই। সকলের যাতায়াতকে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে কচাকাটা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূরুজ্জামান কবির,কচাকাটা দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আইয়ুব আলী,কেদার মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হাফিজুর মন্ডল,কচাকাটা বহুমুখী বালিকা বিদ্যালয়,নিকেতন কচাকাটা বাজার এর পরিচালক আনিসুর রহমান,কচাকাটা রেসিডিয়ান্সের পরিচালক মমিনুর রহমান ব্রীজটি চলাচলের উপযোগী/সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
কচাকাটা বাজারের আলাউদ্দিন আল আজাদ এর কথা ধরে অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, কষ্টের কথা আর কী বলব ভাই। আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নাই। আমরা প্রতিদিন জান্ হাতে নিয়ে এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করি। ছোট ছেলে মেয়েরা ভয়ে স্কুলে যেতে চায়না,তাদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয় আমাদের। দিনের বেলা যাতায়াত করা গেলেও রাতের অন্ধকারে চলতে ভয়ে বুকটা কেঁপে ওঠে। তাই জরুরী ভাবে ব্রিজ সহ ব্রিজটির ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি সংস্কারে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে যে কোনো মুহূর্তে ব্রিজ পারাপারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেদার ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান বলেন, ব্রিজটি দিয়ে শতশত মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে,তাদের যাতায়াতকে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে আগামীকাল পরশুর মধ্যেই ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে ব্রিজটির ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
নাগেশ্বরী উপজেলা প্রকৌশলী বাদশা আলমগীর বলেন,গত এক সপ্তাহ আগে ব্রীজটি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। সরেজমিনে গিয়ে ব্রীজটির অবস্থা দেখে প্রয়োজনীয় ব্রবস্থা নেওয়া হবে।