ঊনসত্তর ডেস্কঃ
যে কোনো উপায়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে ‘করোনাভাইরাস’ নিয়ে বিশেষ বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বিমান সচিব ও স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ ৩০ জন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সভায় ‘কোম্পানি (সংশোধন) আইন-২০২০’ এর খসড়া ও ‘ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস বাংলাদেশ আইন-২০২০’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেভাবেই হোক করোনাভাইরাস আমাদের দেশে ঢোকা প্রতিরোধ করতে হবে। চীন থেকে যারা দেশে ফিরবেন, তাদের অবশ্যই ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। কারণ এটি (করোনাভাইরাস) নিয়ে ঝুঁকি নেওয়া যাবে না।
আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে চীনের উহান থেকে যে ৩১২ জন বাংলাদেশে আনা হয়েছিল, তাদের আশকোনা হজ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। সেখানে তদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এ বিষয়ে কোন ধরনের গাফিলতি চলবে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের যেসব প্রকল্পে চীনের উহান শহরের নাগরিক কর্মরত এবং তাদের মধ্যে যারা নিজ দেশে গেছেন, তাদের আপাতত বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে ওয়ার্ক পারমিটও নবায়ন করা হবে না।
এদিকে কোম্পানির সিল নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়ে ‘কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০২০’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এটির অনুমোদন হয় জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই আইনটিকে অধিকতর ব্যবসা বান্ধব ও সহজ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছিল। বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় এই আইনের খসড়াও প্রণয়ন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস বাংলাদেশ আইন-২০২০ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আন্তর্জাতিক মান সংস্থা বা আন্তর্জাতিক মানক সংস্থা (আইএসও) অনুযায়ী কেমিক্যাল সংক্রান্ত সব পরীক্ষা এই ইনস্টিটিউটে করা সম্ভব হবে। এজন্য আর বাইরে যেতে হবে না। এটি কোনোভাবেই বিএসটিআই’র সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। এর প্রধান হবেন মহাপরিচালক।
এছাড়া সভায় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘প্রটোকল অন ট্রান্স-বাউন্ডারি এলিফ্যান্ট কনজারভেশন বিটুইন রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অ্যান্ড রিপাবলিক অব ইন্ডিয়া’ এর খসড়ার ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।