কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
অনুর্ধ্ব-১৯ যুব ক্রিকেটে ভারতের কাছে বাংলাদেশের জয় যারা ছিনিয়ে এনেছে তাদের মধ্যে অন্যতম একজন খেলোড়ার হল উলিপুরের শাহীন আলম।
দিনমজুর সাহাদত আলী ও মা সাথিনা বেগমের একমাত্র ছেলে শাহীন আলম। অভাবের সংসার অার টাকার অভাবে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি শাহীন অালম। অতিকষ্টে ভর্তি হয় বিকেএসপিতে। সেখান থেকেই এসএসসি পাস করেন শাহীন অালম।
যুব বিশ্বকাপ কাঁপানো শাহীনের বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের যমুনা পাইকপাড়ায়। ‘ছোটবেলা থেকেই তার ক্রিকেট খেলায় ছিল বেশ ঝোঁক ।
কিন্তু তার বাবা জানান যে ছেলেটাকে একজোড়া জুতা কিনে দিতে পারিনি অাবার উল্টা বকাঝকা করে বলেছিলাম আমাদের মতো গরিবের জন্য খেলাধুলা নয়। তার পরিবার অাজ খুবই খুশি বিশ্বকাশ শিরোপা এনে দিয়েছে বাংলার যুবরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুড়িগ্রামের মোবাইল ব্যবসায়ী ফিরোজ টেলিকমের মালিক ফিরোজ ক্রিকেটার শাহীন আলমের দুঃসময়ে পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন। তার খেলার প্রতিভা দেখে তিনি সব দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি, আবু জাফর সোহেল রানা বলেন উলিপুর তথা কুড়িগ্রামের মুখ উজ্জল করেছে শাহীন আলম। শাহীন আলমের কৃতিত্ব প্রমাণ করে অবহেলিত জেলার সন্তান নিজ মেধা ও পরিশ্রমে বিকেএসপিতে ভর্তির সুযোগে তার প্রতিভা বিকশিত হয়েছে। আমাদের ছেলেরা সঠিক পরিচর্যা পেলে তারা আরও ভালো করবে। আমাদের জেলায় অনেক প্রতিভা থাকা সত্বেও খেলাধুলার নুন্যতম সুযোগ সুবিধা ও পরিবেশ নাই ফলে সরকারের কাছে অনুরোধ করবো পিছিয়ে পরা জেলা হিসেবে বিকেএসপিতে জেলা কোঠা কিংবা বিশেষ কোঠা দিয়ে হলেও প্রতি বছর আমাদের সন্তানদের সেখানে খেলাধুলা ও লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হোক। অন্তত খেলাধুলার এ পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে আমাদের সন্তানরা যথেষ্ট ভালো করে দেশের মুখ উজ্জল করতে সমর্থ হবে।
কুড়িগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আবু মো: সাঈদ হাসান লোবান জানান, ২০১৭ সালে শাহীন আলম বিকেএসপিতে ভর্তি হয়। পরে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট খেলতে শ্রীলংকায় যায়। সেখান থেকে পরে এবারের যুব বিশ্বকাপ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকায় যায়।