
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ধর্মপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গতকাল ১০টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত কোনো শিক্ষক উপস্থিত না হওয়ায় বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিলেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।এমতাবস্থায়কাকলী ও ফেরদৌসি নামের দু’জন শিক্ষিকা উপস্থিত হন সেখানে।তারা স্কুলে তালা দেখেউপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে তালা খুলে দিতেবলেন। তালা না খুললে ছাত্রলীগ নেতাদের দিয়েহেনস্তা করার হুমকি দেন।
এ হট্টোগোলের একপর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হনস্কুলের সভাপতি আব্দুর রশিদ।তিনি বলেন, টিওএটিও প্রতিমন্ত্রী সকলকে এ স্কুলের দুর্দাশার কথা বলেছি। বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগওদিয়েছি।কিন্তু কেউ কোনো ব্যবস্থা নেন নি। ধর্মপুরসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩০জন শিক্ষার্থী ওশিক্ষক রয়েছেন ৬জন। এদের মধ্যে মাহফুজাবেগম ও শিউলি আক্তার নামের দু’জন শিক্ষকরয়েছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে।ওইদিন ১১টার পরকাকলী পারভীন ও ফেরদৌসী জাহান নামেরদু’জন শিক্ষার্থী স্কুলে উপস্থিত হন। প্রধান শিক্ষকআসাদুজ্জামান ছিলেন মাসিক সমন্বয় সভায় ওসহকারী শিক্ষক আফজাল হোসেন আছেনইউআরসি ট্রেনিংয়ে। আল আমিন নামের একজনগ্রামবাসী বলেন, এ স্কুলে কোনো শিক্ষকই সময়মত আসেন না।
পড়াশোনাও ঠিকমত হয় না। দুপুরের দিকে ওরাআসেন এবং যান দুপুরের পরপরই। খোদপ্রাথমিক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর এলাকাতেই যদি প্রাথমিক স্কুলের এমন হাল হয় তাহলে আমরা কারকাছে যাব? স্কুলে গ্রামবাসীর তালা ঝোলানোরবিষয়টি স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামানবলেন, দু’জন শিক্ষক রয়েছেন মাতৃত্বকালীনছুটিতে। আমি এবং একজন সহকারী শিক্ষকট্রেনিংয়ে থাকায় কাকলী ও ফেরদৌসীকেযথাসময়ে স্কুলে আসার জন্য গতকাল বলেছিলাম।কিন্তু তারা সময় মত স্কুলে আসেননি। তাইএলাকাবাসী স্কুলে তালা ঝুলিয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুলইসলাম বলেন, এ বিষয়ে ইউএনও মহোদয়আমাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত করেযথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান বলেন,স্কুলে তালা ঝোলানোর বিষয়টি জানতে পেরেছি।উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে এ ব্যাপারে তদন্তেরনির্দেশ দিয়েছি। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে দোষীব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।