মঙ্গলবার , মার্চ ২১ ২০২৩
Home / জাতীয় / `রাস্তায় প্রচারণা চালিয়ে বিএনপি নেত্রীর মুক্তি হবে না

`রাস্তায় প্রচারণা চালিয়ে বিএনপি নেত্রীর মুক্তি হবে না

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজের অপরাধ স্বীকার করার পরই কেবল পেরোলের জন্য আবেদন করতে পারেন। রাস্তায় প্রচারণা চালিয়ে তার মুক্তি হবে না।

আজ শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ ময়দানে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে যোগদানের পরে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন। অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের কর্মচারীদের জন্য এই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

হাছান বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার কোনো কর্তৃত্ব সরকারের নেই। যদি সরকার এই কর্তৃত্ব খাটাতে চায়, তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নিতে হবে, যা সংবিধান অনুমোদন দেয় না। খালেদা জিয়া একমাত্র আইনি পদ্ধতিতেই জেল থেকে মুক্তি পেতে পারেন, একথা পুনর্ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন অথবা রাস্তায় প্রচারণা চালিয়ে বিএনপি নেত্রীর মুক্তির কোনো পথ নেই। তার জেল থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হতে পারে আইনি ব্যবস্থা।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি প্রধান দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে জেলে আছেন এবং আদালতই কেবল তাকে মুক্তি দিতে পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) কি চায় তারা তা জানে না। এক সময় তারা বলে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনে যাবে, অন্যদিকে তার মুক্তির জন্য আমাদের সাধারণ সম্পাদককে ফোন দেয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে প্যারোলের কোনো আবেদন করা হয়নি। তার পরিবারের বরাত দিয়ে এক ধরনের কথা, আবার দলের পক্ষ থেকে আরেক ধরনের কথা বলা হচ্ছে। তারা আসলে কি চান, সেটা এখনো তারা স্পষ্ট করতে পারেননি।

হাছান বলেন, নিয়মিত তার (খালেদা জিয়া) স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা করছেন।

তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে কারাগারে না রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তাকে তার পছন্দের গৃহ পরিচারিকাকে সাথে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দিতে সরকার সবসময় আন্তরিক।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা জিঘাংসা বা প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না বরং বিএনপি করে। ২০০৪ সালে বিএনপির আমলে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তার পুত্র তারেক রহমানের পরিচালনায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল।

ড. হাছান আরো বলেন, আবার যখন বেগম জিয়ার দ্বিতীয় পুত্র মৃত্যুবরণ করেন, তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেগম জিয়ার বাড়ির দরজায় দশ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি দরজা খোলেননি। এগুলো আমরা মনে রাখিনি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনে রাখেননি। বেগম জিয়াকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে রেখে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা দিতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

নিজদলের উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভাই যখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, তখন তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ছিলেন। বিদেশ থেকে যে চিকিৎসকরা এসেছিলেন, তারাও বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল যে চিকিৎসা দিয়েছে, তা বিশ্বমানের এবং সঠিক।

বেগম খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তাকে কারাগারের প্রকোষ্ঠে না রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সাথে পছন্দের গৃহপরিচারিকাকে রাখা হয়েছে, সার্বক্ষণিক নার্স রয়েছে। নিয়মিত তার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও তাকে সময়ে সময়ে পরীক্ষা করেন। সুতরাং বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপির কথাগুলো জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা ছাড়া কিছু না।

এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অগ্রণী ব্যাংকের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সামস-উল ইসলামসহ কর্মকর্তা-কর্মচারি ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

About admin

Check Also

কোভিডের তৃতীয় ও চুতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়া সাময়িক বন্ধ

দেশে কোভিডের মজুতকৃত টিকার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তৃতীয় ও চুতুর্থ ডোজ দেওয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে …

বীমা কোম্পানিগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতি করে বীমার অর্থের দাবিদারদের ব্যাপারে বীমা কোম্পানিগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ …

সরকার স্মার্ট ক্রীড়াবিদ তৈরিতে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার যে কোনো আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *