নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ রয়েছেন ব্যবসায়ী, তার স্ত্রী ও স্কুল পড়ুয়া দুই মেয়ে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ভাড়া বাসা থেকে মিরপুরে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে আর ফিরে আসেনি। বন্ধ আছে তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোনও। তাদের কোন হদিস না পেয়ে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিখোঁজের জিডি দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ীর শাশুড়ি।
নিখোঁজদের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া বাগে জান্নাত মহল্লায় সিরাজুল ইসলামের বাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে স্বপরিবারে ভাড়া থাকতেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তোবারক হোসেন (৪৪)। তিনি শহরের বঙ্গবন্ধু রোডস্থ লুৎফা টাওয়ার সংলগ্ন সড়কের ফুটপাতে অস্থায়ী দোকানে গার্মেন্টের তৈরি পোশাকের বেচাকেনা করতেন।
ওই ফ্ল্যাটে তোবারক হোসেনের সঙ্গে তার স্ত্রী মুক্তা (৩০) ও দুই মেয়ে ফারিয়া (৯) ও ফাহমিদা (৬) থাকতো। বড় মেয়ে ফারিয়া চাষাঢ়া বন্ধু স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী ও ফাহমিদা একই স্কুলের ১ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
তোবারক হোসেন মিরপুর ব্লক-বি গাবতলী ১ম কলোনী জব্বার হাউজিং বাড়ি নং-১৭ সি/ডি এলাকার রেজাউল হকের পুত্র। তোবারকের বাবা-মা বর্তমানে মিরপুর সেকশন ৬-এর কেন্দ্রীয় মসজিদের বিপরীতে সুমন সোহেলদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারী ব্যবসায়ী তোবারক হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুরে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে চাষাঢ়ার বাসা থেকে বের হন। তবে গত এক সপ্তাহেও ওই বাড়িতে ফিরে আসেনি তারা। তোবারক ও মুক্তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় মুক্তার মা মেহের বেগম আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সদর মডেল থানায় একটি জিডি দায়ের করেন। পরে সদর মডেল থানার এসআই সাব্বির ঘটনাস্থল তদন্ত করেন।
সদর মডেল থানার এসআই সাব্বির জানান, কি কারণে তারা স্বপরিবারে নিখোঁজ, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। আজ (বুধবার) বিকেলে জিডি দায়ের হয়েছে। নিখোঁজের ঘটনার তদন্ত চলছে।