
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেনী ইউনিয়নের পূর্ব কাশিয়াগাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ৫ জন শিক্ষকের বিপরীতে মাত্র ৩৯ জন শিক্ষার্থী নিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে। শিক্ষক অনুপাতে যদিও ২০০ শিক্ষার্থী থাকার টার্গেট রয়েছে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক- মোঃ আফজাল হোসেন গত ১লা ফেব্রুয়ারী থেকে গতকাল ১লা মার্চ-২০২০ইং পর্যন্ত অনুপস্থিত, সহকারী শিক্ষক- মোছাঃ রেজিয়া বেগম, মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম ও মোছাঃ মাহমুদা খাতুন সহ মোট ৩জন শিক্ষককে বিদ্যালয়ে পাওয়া যায়। অপর সহ: শিক্ষক মোছাঃ সেলিনা আকতারকেও পাওয়া যায়নি বিদ্যালয়ে।
গতকাল ১লা মার্চ রবিবার দেখা গেছে প্রথম শিফটে শিশু শ্রেনীতে ০৯ জন, প্রথম শ্রেনীতে ৩ জন ও দ্বিতীয় শ্রেনীতে ১২ মোট ২৪ জন শিক্ষার্থী এসেছিল। দ্বিতীয় শিফটে দুপুর ১টা পর্যন্ত তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেনী মিলে একজন শিক্ষার্থীও বিদ্যালয়ে আসেনি।
বিগত দিনের রেকর্ডে দেখা যায় তৃতীয় শ্রেনীতে ১৪ চতুর্থ শ্রেনীতে ৫ জন ও পঞ্চম শ্রেনীতে ৩ জন করে নিয়মিত উপস্থিত ছিল।
ঐ প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রী হাজিরা খাতা অনুযায়ী মোট শিক্ষার্থী ৮০ জন দেখালেও বাস্তবে তা ৩৯ জন।
এলাকাসীর অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের উদাসীনতা, দায়ীত্বে অবহেলা ও সিমাহীন দুর্নীতির কারণে ধংস হয়ে গেছে এই প্রতিষ্ঠান।
কতৃপক্ষের নেই তেমন কোনো নজরদারী।
নিয়ম নীতি না মেনে মাত্র ৭ ফিট উচ্চতায় উড়ছে জাতীয় পতাকা। পতাকা বেদি নির্মানে স্লীপের টাকা পেলেও নির্মান হয়নি পতাকা বেদি।
শিশু শ্রেনীর বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে আকৃষ্ট করার জন্য খেলনা ক্রয়ের টাকা উত্তলোন করলেও ক্রয় করা হয়নি একটি খেলনাও।
শিক্ষার্থীদের হাজিরা ও বিস্কুটের রেজিস্টারের সাথে রয়েছে বিশাল অসঙ্গতি। অভিভাবকগন প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেছে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেস্টা করলে, তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিষয়টি নিয়ে সহকারী শিক্ষা অফিসার (ATO) নিখিল চন্দ্র বলেন, আমি গত-১৯ ফেব্রুয়ারী-২০২০ ইং তারিখে পুর্ব কাশিয়াগাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে গিয়ে ছিলাম। আমিও একই চিত্র দেখেছি। বিষয়টি আমার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অতিতের একটি মামলা আছে যা বিভাগীয় তদন্ত কমিটির তদন্তাধীন রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি বাঁচানোর জন্য এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগনের মনে আস্থা ফেরাতে আমরা দ্রুত কার্যকরি পদক্ষেপ নিব।