
নিখোঁজের ১৬ দিন পর শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার ত্রিলোচনপুর-দাদপুর গ্রামের মাঠ থেকে কেয়া খাতুন (১৫) নামের এক মাদরাসা ছাত্রীর মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কেয়া বালিয়াডাঙ্গা দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী এবং ত্রিলোচনপুর গ্রামের ছানাউল হকের মেয়ে।
নিহত কেয়ার দাদা মোশাররফ মন্ডল জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বাড়ী থেকে নিখোঁজ হয় কেয়া। এরপর খোঁজাখুজি করে না পেয়ে ১ মার্চ কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে তার পরিবার।
তিনি আরও জানায়, চার মাস আগে উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মনসুর আলী মালিথার ছেলে সাবজেল হোসেনের সাথে কেয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কেয়া বাড়িতেই ছিল। নিখোঁজের কয়েকদিন পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে শশুরবাড়ি তুলে দেয়ার কথা ছিল।
শুক্রবার সকালে ত্রিলোচনপুর-দাদপুর গ্রামের মাঠের মধ্যে রাস্তার পাশে একটি কলা বাগানে চুলের ব্যান্ডসহ অন্যান্য জিনিস পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মাটি খুড়ে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। এরপর পোশাক-পরিচ্ছদ দেখে সনাক্ত করে কেয়ার পরিবার।
নিহত কেয়ার শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, কেয়া খাতুন মাদরাসার নিয়মিত ছাত্রী ছিল। ২০১৯ সালে সপ্তম শ্রেণি থেকে বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছিল। চলতি শিক্ষা বছরে সে একদিনও মাদরাসায় আসেনি। শুনেছি বিয়ে হয়ে গেছে এর বেশি কিছু জানতাম না।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে রাস্তার পাশের একটি কলা ক্ষেত থেকে গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শরীরের হাড়গুলো আলাদা হয়ে গেছে। যে কারনে চেনার কোন উপায় নেই। তবে পরিবারের লোকজন পোশাক দেখে দাবি করছে এটা নিখোঁজ কেয়ার মরদেহ। কি কারণে এবং কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।