মাহতাব হোসাইন লিমন
একাত্তর আর বায়ান্ন এর
বীর বাঙ্গািলী তোরা কোথায় ?
দেশকে আজ জাগিয়া তুলতে
তোদেরি যে বড় দরকার ।
আজকে মোরা তোদের বংশধর
পরীচয় কেবল নামেই মেলে
গুণে কিন্তু একদমী নয় ।
অন্যায় দেখলে তাদের রক্তে
উঠতো আগুন জ্বেলে
প্রতিবাদের শুরে তারা
নেমে আসত রাজপথে ।
তারা কভু কখনো পেতনা কোন ভয়
তাদের তেজে কাপত তখন গোটা বিশ্বজয়।
তারা পেতনা কভু কোন ভয়,
তারাতো ছিলো বড্ড সাহসী,
ভয় লাজ কখনো তাদের নাহী সোভা পায়
এমনিতো ছিলো স্বাধীন বাংলার বীর ।
বীর কখনাে পথ হাড়ায় না
ন্যায়ের পথে জয়ের জন্য
এগিয়ে চলতে থাকে।
তারা কখনো পিছু হটবার নয়
বীর এগিয়ে চলে সামনের দিকে
বুকের দুপাট খুলে।
যেমনি ভাবে বাংলার দামাল ছেলে
বুলেটের দিকে বুকটি দিত ছেপে।
বীর কখনো হাড় মানেনা,
দিবা রাত্রি লড়াই করে যারা
তাড়াইতো ছিলো শ্রেষ্ঠ বীর ।
আজকে মোরা স্বাধের বাঙ্গালি জাতী !
খাই আর ঘুমাই
হইয়াছি বয়লার মুরগী ।
অন্যায় পথে অসৎ পথে
চলছে আজ সবাই
সকলেই চলছে অসৎ পথে
বাধা দেবে কেবা কখন কোথায়।
আজ কঠিন বিপদে কেইবা দেবে বাধা
টাকার কাছে সকলেই বিক্রি
প্রতিবাদ করবে কখন কেবা ।
বীর কখনো ডাকাত হয়না
বড়ই দয়ালু তারা,
মানুষ মারলে আর লড়াই করলে
কখনোযে বীর হওয়া যায়না।
যে পারে অন্যায়কে প্রতিবাদ করতে,
যে পারে দুঃখী কে কাছে টানতে,
যে পারে ন্যায় অন্যায় শিক্ষা দিতে,
সেইতো শ্রেষ্ঠ বীর।
একাত্তরের বীর বাঙ্গালি আজ
হাড়িয়ে গেছে নাকি,
স্বাধীন হয়ে আজকে কি মোরা
বদলে যাওয়া নতুন একটি জাতী ;
যে জাতী পারেনা লড়াই করতে
পারেনা কখনো অন্যায়কে প্রতিবাদ করতে
যে জাতী পারেনা অন্যায়ের রাজ্য তুলে
ন্যায়ের রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে।
মোরা আজ স্বাধের বাঙ্গালি জাতী!
যে জাতী ছিলো একটি সময়
অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা নুয়াবার নয়,
যে জাতী ছিলো এতই সাহসি
বুকের দুপাট খুলে
বুক পেতে দিত বুলেটের দিকে
দিত সে বারে বারে ;
মোরা কি নিই আজ তাদেরই সন্তান
তবে এতটাই মোরা ভীতু।
দেশকে আজ রক্ষা করতেে
এমন বীর কী আজো পাওয়া যাবে,
যে পারবে সেই ৭ই মাচের ভাষণের মতো
রক্ত ঝড়া ভাষণ দিতে,
ভাষণ দিয়া মানুষকে জাগাইতে
যে পারবে মানুষকে শুভরাইতে
এমন কি কোন বীর
আজো কি আছে এই দেশে?
হয়তো পাবনা ফিরে আর কখনো
মুজীব তোমার মতো,
বাংলার বুকে শ্রেষ্ঠ বীর তুমি
রবে চিরকাল শ্রেষ্ঠ বীর হয়ে
তুমি শেখ মুজিব।
এই জাতীকে স্বাধীন করতে
মহান নেতা তুমি,
এই বাংলার মাটিতে স্বাধীন পতাকা উড়াইতে
তুমিতো শ্রেষ্ঠ বীর ।