মাহফুজার রহমান মনু,রাজারহাট(কুড়িগ্রাম) থেকেঃ
২১মার্চ শনিবার সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে চাঞ্চল্যকর হবিবর রহমান হত্যাকান্ডের মুলহোতা আলমগীর হোসেন ও নজরুলকে এবং অভিযুক্তদের নাম এজাহারভূক্ত করে দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে মামলার বাদীসহ এলাকাবাসীরা মানববন্ধন করেছে।
প্রেসক্লাব রাজারহাট চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হত্যাকান্ডের শিকার হবিবর রহমানের মাতা অবিরন বেওয়া, তার স্ত্রী শাহিনা বেগম, শিশু কন্যা উম্মে সায়মা ওরফে হ্যাপি,ছোট ভাই নুর মোহাম্মদ, মামলার বাদী কাজিম উদ্দিন ও এলাকাবাসীর পক্ষে মতিউর রহমান প্রমূখ।
এ সময় বক্তারা হবিবর রহমানের হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত মুল হোতা আলমগীর হোসেনসহ অন্যান্য অভিযুক্তদের নাম এজাহারভূক্ত করে দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক ফাঁসীর দাবী জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের তালুক আষাঢ়ু গ্রামে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার দুপুরে ওই গ্রামের হাসেন আলী ম-লের পুত্র ছমেদ আলীর(৪৫) সাথে একই গ্রামের মৃত শহীদ আলীর পুত্র সুলতান(৫৫) পূর্বে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ছমেদ আলীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এসে সুলতান আলীর লোকজনের উপর হামলা চালায়। এ সময় প্রতিপক্ষরা সুলতান আলীর শ্যালক হবিবর রহমান(৩৪) উপর হামলা চালিয়ে মাথায় দেশীয় কাস্তে দিয়ে কোপ মারে। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার হবিবর রহমান(৩৪) মারা যায়।
এ ঘটনায় ১৯ ফেব্রুয়ারী বুধবার রাজারহাট থানায় নিহতের মামাতো ভাই কাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে মারামারির ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন পরদিন হবিবর রহমান মারা যাওয়ায় ওই অভিযোগটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়। যার মামলা নং-১০,তাং ১৯-০২-২০২০ইং।
মানববন্ধনে মামলার বাদী কাজিম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, আমার ফুফাতো ভাই হবিবর রহমান গুরুত্বর অসুস্থ হলে প্রথমে তাকে কুড়িগ্রাম ও পরে অবস্থার অবণতি ঘটলে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। এ সময় থানা পুলিশ দ্রুত মারামারির সঙ্গে জড়িতদের অভিযোগ দেয়ার জন্য বললে ওই সময় দ্রুত অভিযোগ করতে গিয়ে ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত চাকিপশার তালুক আষাঢু এলাকার মৃত ফরমান আলীর পুত্র আলমগীর হোসেন (৩৫) ও তার বড় ভাই নজরুল ইসলাম(৪২) এর নাম বাদ পড়ে।
এ দুজনকে দ্রুত এজাহারভুক্ত করে গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানিয়েছেন মামলার বাদী সহ মানববন্ধনে অংশ গ্রহনকারী এলাকাবাসী।