
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে প্রেমের মাধ্যমে বিয়ে, শশুরবাড়ী বেড়াতে এসে অপহরন। ৯৯৯এ ফোন করে অপহৃত যুবক উদ্ধার। এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ধরনীবাড়ি ইউনিয়নের মাদারটারী গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে সুলতানা ওরফে ইসমোতারা বেগম (২৩)’র ঢাকায় গার্মেন্টস চাকুরি করার সুবাদে প্রেমের সম্পর্কে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার সরাই হাজিপুর গ্রামের আফছার আলীর পুত্র রাকিবুল ইসলামের (২৫) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। স্ত্রী ইসমোতারা বাবার বাড়িতে থাকায় রাকিবুল শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় এরশাদুল হক দলবল নিয়ে তাদের বাড়িতে এসে তাদের বিয়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রাকিবুলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।এসময় তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে ফাঁকা স্টাম্পে সই করা সহ মুক্তিপণের টাকা দাবী করে। পরে ব্যর্থ হয়ে ওই দিন গভীর রাতে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ব্রহ্মপুত্র নদে নিয়ে যায়।
পরে উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের পালের ভিটা নামক স্থানে রাকিবুলের আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে দুর্বৃত্তদেরকে আটক করে ৯৯৯ এ ফোন দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধরনীবাড়ি ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের ছনসল ইসলামের পুত্র চাকরিচ্যুত সেনা সদস্য এরশাদুল হক (৪৪) একই ইউনিয়নের মাদারটারী গ্রামের আব্দুল মান্নানের পুত্র মাহাবুর (৩২), আব্দুল লতিফের পুত্র রাশেদুল ইসলাম (৩০) ওমর আলীর পুত্র আব্দুর মান্নার (৩৫) কে আটক থানায় নিয়ে আসে। এসময় মাদারটারী গ্রামের আব্দুর রহিম (সাধু) মিয়ার পুত্র পলাশ মিয়া (২৮) পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে রাকিবুলের পিতা আফছার আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকে আমার ছেলের মোবাইল ফোন দিয়ে একজন কল করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন। টাকা দিতে অপরাগতা জানালে পরবর্তীতে আমার ছেলেকে মারধর করা অবস্থায় ফোন দিয়ে ছেলের কান্নাকাটি শোনায়। পরে বিষয়টি রায়গঞ্জ থানায় অবগত করি।
এব্যাপারে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান,এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃত আসামীদের জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।