মোঃ মজিবর রহমান, নাগেশ্বরী প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রায় প্রতিদিন রাতের আঁধারে শতশত ভারতীয় গরু ঢুকছে। এসব ভারতীয় গরু বিট খাটাল হয়ে পৌছে যাচ্ছে ভূরুঙ্গামারী হাটে।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত গরু ব্যবসায়ীরা ভূরুঙ্গামারীতে আসছেন গরু কিনতে। এতে গরু পাচারকারীদের মাধ্যমে ভারত থেকে করোনা ভাইরাস ভূরুঙ্গামারীতে ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপক সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। অপর দিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা গরু ব্যবসায়ীদের মাধ্যমেও করোনা ভাইরাস ভূরুঙ্গামারীতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। করোনার বিস্তার রোধে ইতোমধ্যে ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাতে ভারত থেকে করোনা ভাইরাসের জীবানু বাংলাদেশে আসতে না পারে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি বাজার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সীমান্তবাসী ক্ষোভের সাথে জানান পাচারকারীদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ভূরুঙ্গামারীতে আসতে পারে, কেন গরু আসা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না তা বোধগম্য নয়! নিশ্চয়ই কোনো স্বার্থের কারণে প্রশাসন গরু আসা বন্ধ করছেনা। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সীমান্তগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি গরু আসা বন্ধ করতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী বলে তারা মনে করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে,ভূরুঙ্গামারী হাট বাজার কমিটির সভাপতি এ কে এম মাহমুদুর রহমান রোজেন জানান, নিদের্শনা পেয়েছি বুধবার থেকে পরবর্তী নিদের্শ না দেওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার হাট বাজার বন্ধ থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরুজুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সকলকে সচেতন থাকতে সচেতন করা হচ্ছে।
সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ করার বিষয়ে সকল রকমের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে গাফিলতি
পরিলক্ষিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।