
ফুল ফুটেছে তার যৌবনে। এ যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার। দৃষ্টিনন্দন ৬২ বিঘার জমি। সূর্যের ঝলকানিতে হলুদ রঙে ঝলমল করছে চারপাশ। এলাকায় বইছে সুবাতাস। প্রতিদিনই শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন আসে তার সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে।
নবীগঞ্জে ৬২ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষে বাজিমাত সৃষ্টি করেছেন এক কৃষক। কম খরচে অধিক ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে এবার ফসলের হাঁসি।
নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের মান্দারকান্দি ব্লকে অনাবাদি জমিতে চাষ করা হয়েছে এই ফসল। উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে মান্দারকান্দি গ্রামের পার্থ সারতি ঘুষ এই উদ্যোগটি গ্রহণ করেছেন। সূর্যমুখী চাষ করে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তিনি।
বিকেলের সূর্যের ঝলকানি আলোতে হলুদ রঙের বাহারিতে ঝলমল করে সূর্যমুখী ফুলের এই বাগানটি। নবীগঞ্জ উপজেলায় এই প্রথম চাষ করা হয়েছে সূর্যমুখী ফুল। সবুজের মধ্যে হলুদের ঝলকানি ছোঁয়া পেতে বিকেল বেলা ঘুরতে যান অনেকে।
কৃষক পার্থ সারতি ঘুষ জানান, সূর্যমুখী ফুল এটি তেল বীজ জাতীয় ফসল। সূর্যমুখী বীজ থেকে উন্নতমানের তেল উৎপাদন করা যায়। কম খরচে অধিক লাভের জন্য চাষ করে আমি সফলতা পেয়েছি।
এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা অলক কুমার জানান, নবীগঞ্জে এই প্রথম আমাদের পরামর্শক্রমে পার্থ সারতি ঘুষ তার ৬২ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহী হন। অন্যান্য ফসল থেকে সূর্যমুখী ফুলের চাষ বাম্পার ফলন হয়েছে এবার। এ থেকে অধিক লাভবান হতে পারবেন এই কৃষক।
তিনি আরো জানান, ৬২ বিঘা জমির চাষকৃত সূর্যমুখী ফসল বাজারজাত করণে বিভিন্ন কোম্পানী আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। ফসল সংরক্ষণ করে পর্যায়ক্রমে বাজারজাত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।