এ.এস. লিমন,রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
সারা দেশের ন্যায় কুড়িগ্রামের রাজারহাটে লকডাউনের কারনে সন্ধার পর সুনশান নিরবতার সুযোগে রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউপির ডাংরারহাট বাজারে জাকি মেডিসিন কর্নার ও বিকাশ এজেন্সির একটি দোকান থেকে প্রায় তিন লাখ টাকাসহ ঔষধ ব্যবসায়ী মো. ফিরোজ আলমকে তুলে নিয়ে যাবার সময় নাজিমখান ইউপির বাছড়া বাজার এলাকায় দুই ভূয়া ডিবি পুলিশকে স্থানীয়রা আটক করে রাজারহাট থানা পুলিশের নিকট সোর্পদ করেছে।
আটককৃতরা হলেন, রাজারহাট উপজেলার উমরমজিদ ইউপির বালাকান্দি হাজিপাড়া এলাকার রিপন সরকার (৩০) ও আতাউর রহমান (২৮)। অপর আসামী মেহেদী হাসান (২৫) পালিয়ে যায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, (৬ এপ্রিল) রবিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে বিদ্যানন্দ ইউপির ডাংরারহাট বাজারের ঔষধ ও বিকাশ ব্যবসায়ী মো.ফিরোজ আলম (২৫) দোকানে বেচা-কেনা ও বিকাশে লেনদেন করার সময় ৩ জন অপরিচিত ব্যাক্তি ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে ফিরোজ আলমকে লাঠিচার্জ করে বিভিন্ন ভয়- ভীতি দেখায়। ওই সময় ডাংরারহাট বাজারে আতঙ্কের সৃষ্টি হলে তারা আমার নিকট ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে আমাকে ধরে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়। পরে দোকানের ক্যাশ বাক্স্র থেকে আনুমানিক ৩ লাখ টাকাসহ আমাকে তুলে নিয়ে নাজিমখাঁন যাওয়ার পথে বাছড়া বাজারে স্থানীয়রা মোবাইল ফোনে ভূয়া পলিশের খবর পেয়ে মটরসাইকেলটি আটক করলে তারা মটরসাইকেল ফেলে দিয়ে টাকাসহ দ্রæত পালানোর চেষ্টা করে। ওই সময় স্থানীয়রা ২ জনকে আটক এবং অপরজন টাকাসহ পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে রাজারহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদরেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ কৃষ্ণ কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনায় রাজারহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং ০৫ তাং:০৬-০৪-২০২০ইং। আজ রবিবার সকালে তাদেরকে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং অপর আসামী মেহেদী হাসান(২৫)কে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।