কুড়িগ্রামের উলিপুরে টাঙ্গাইলের এক প্রবাসীর বাড়িতে কর্মরত শ্রমিক নিজ গৃহে ফিরেই করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। রোববার (১৯) এপ্রিল রাতে জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যাথা নিয়ে শহিদুর রহমান (৪৫) হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় মারা যান।
নিহত ব্যক্তি উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই রঘুরায় মাস্টারপাড়া (কানিপাড়া) গ্রামে তার শ্বশুর কাদের বকস এর বাড়িতে বসবাস করতো। সে একই ইউনিয়নের পাঁচপীর এলাকার মোহাম্মদ আলীর পুত্র। এঘটনায় মৃত ব্যক্তিসহ তার স্ত্রী ও ১২ বছরের কন্যার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান জানান, শহিদুর রহমান গত এক সপ্তাহ আগে টাঙ্গাইল থেকে তার শ্বশুর বাড়িতে চলে আসে। তিন মাস ধরে সে টাঙ্গাইলে কৃষিকাজ করছিল। সর্বশেষ শাহজাহান নামে এক প্রবাসীর বাড়িতে সে কাজ করত। ওই প্রবাসী মারা যাওয়ার পর সে বাড়িতে চলে আসে। এরপর থেকে সে জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যাথায় ভুগছিলেন। শহিদুর রহমান এলাকায় আসার পর স্থানীয়রা তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখেন। কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় গত রবিবার রাতে সে মারা যায়।
শহিদুরের প্রতিবেশি পাঁচপীর হাইস্কুলের শিক্ষক আমিরুল ইসলাম জানান, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রান্নাবান্না শেষে শহিদুরকে তার স্ত্রী খাবার দিতে গিয়ে দেখেন নিথর হয়ে পরে আছে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে রাতেই পুলিশ ও স্বাস্থ্যবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে পরিবারের তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। সোমবার (২০এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশের লোকজন দাফনের ব্যবস্থা করেন। এসময় এলাকাবাসীর কেউ সেখানে উপস্থিত ছিল না।
বিষয়টি নিয়ে উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, সপ্তাহ খানেক আগে তিনি টাঙ্গাইল থেকে বাড়িতে আসেন। জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে গত রবিবার রাতে তিনি মারা যান। আমরা শহিদুলসহ তার স্ত্রী ও ১২ বছরের কন্যার নমুনা সংগ্রহ করেছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ম অনুযায়ী দাফন করেছে। স্থানীয়রা কেউ এগিয়ে আসেনি।