মাহফুজার রহমান মাহফুজফুলবাড়ী,কুড়িগ্রাম সংবাদদাতাঃ করোনার সংক্রমনের বিস্তার রোধে কঠোর অবস্হানে প্রসাশন। জনসমাগম এড়ানোর জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে গণপরিবহন সহ অধিকাংশ দোকান পাট।বিপাকে পড়েছেন প্রান্তিক মানুষেরা। কবে আসবে ত্রাণ সহায়তা সেই অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন অনেকেই।বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ গুলো।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নে কোন মানু্ষ যাতে অভুক্ত না থাকে সেই লক্ষে অসহায়দের বাড়ীতে বাড়ীতে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন ২৯ বছরের যুবক মাসুদ রানা।
গত ১২ এগ্রিল হতে তিনি প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ টি অভুক্ত পরিবারে নিজ উদ্যোগে ও অর্থায়নে বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। অভুক্তদের খুঁজে নিতে তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন – আপনার আশেপাশে কেউ অভুক্ত থাকলে আমাকে জানান আমি খাবার পৌঁছে দিব।সেখানে যোগাযোগের জন্য যুক্ত করেছেন নিজের ২ টি মোবাইল নাম্বার।
তারই সূত্রধরে ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসছে না খেয়ে থাকা মানুষের খোঁজ।আর খবর আসা মাত্র নিজ কাধে খাবার সামগ্রী নিয়ে অভুক্তদের বাড়ীতে হাজির হচ্ছেন মানবিক যুবক মাসুদ রানা।
তার এমন মানবিকতার কারনে অনেক অভুক্ত পরিবারের মুখে ফুটেছে হাসি চোখে আনন্দের অশ্রুপাত। দুর্দিনে অসহায়দের পাশে দাড়ানোর প্রতিদানে মাসুদ রানা সিক্ত তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসায়।
মাসুদ রানা উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়াড আ’লীগের সভাপতি মোঃমজিবর রহমানের ছেলে।
তিনি “ZTE Coorporation Bangladesh LTD/Multinational Company “এর কোয়ালিটি ইন্জিনিয়ার পদে কর্মরত আছেন।
মাসুদ রানা বলেন, করোনার কড়াল গ্রাসে জনজীবন আজ বিপর্যস্ত। অসহায়দের পাশে দাড়ানো বর্তমান পরিস্হিতিতে সামর্থবান প্রত্যেরই নৈতিক দায়িত্ব।আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি অসহায়দের পাশে থাকার এবং যতদিন না করোনা পরিস্হিতি স্বাভাবিক হচ্ছে আমার এই সেবা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এসময় তিনি সমাজের সামর্থবান সকলকে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর আহ্বান জানান এবং বলেন আমরা সামর্থবানরা যদি প্রত্যেকেই নিজ নিজ এলাকার অভুক্তদের মুখে খাবার দেই তাহলে আমার মনে হয় একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না।