ধান কাটার মৌসুমে যখন চাষী ও মহাজনরা শ্রমিক সংকটে চিন্তিত, সেই মুহূর্তে বাগেরহাট থেকে দুই শতাধিক ধান কাটার শ্রমিক পাঠানো হয়েছে বরিশালে। বাগেরহাট জেলা পুলিশের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বুধবার সকালে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ডাকরা গ্রাম থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে জলজপথে এই শ্রমিক পাঠানোর কার্যক্রম শুরু করা হয়।
এসময় বাগেরহাট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, সহকারি পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পাঠানো শ্রমিকদের শরীরে স্প্রে করে জীবানুনাশক ছিটানো হয় এবং মাস্ক ও সাবান বিতরণ করা হয়।
ধানকাটার উদ্দেশ্যে বরিশাল যাওয়া শ্রমিক আব্দুল হাই, ছোট মিয়া, সাবুল মোল্লা বলেন, করোনা ভাইরাসের মুহূর্তে জীবনের ঝুকি নিয়ে স্ত্রী সন্তানদের রেখে এই জেলা থেকে অন্য জেলায় ধান কাটতে যাচ্ছি। কিছুদিন কর্মহীন অবস্থায় থাকায় সরকারের পুলিশ বিভাগ আমাদের কর্মসংস্থানের যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে আমরা খুশি। ধান কাটা ও মাড়াই শেষে যাতে সুস্থ্যভাবে ফিরে আসতে পারি সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি।
রামপালের ভোজপাতিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, নিয়মকানুন মেনেই সকালে দুই শতাধিক রওনা দিয়ে গেছে। পর্যায়ক্রমে আরও দুই শতাধিক আমার ইউনিয়ন থেকে মোট চার শতাধিক শ্রমিককে বরিশালে পাঠানো হবে। করোনা পরিস্থিতিতে আমরা ওইসব শ্রমিকদের পরিবারগুলোকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।
বাগেরহাট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, বাগেরহাট জেলা পুলিশের উদ্যোগে বাগেরহাট থেকে বিভিন্ন জেলায় ধান কাটার উদ্দেশ্যে শ্রমিক পাঠানো হচ্ছে। এতে ধান চাষীদের উপকারের পাশাপাশি শ্রমিকদেরও আর্থিক সচ্ছলতা ফিরছে। পর্যায়ক্রমে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আরও দুই হাজার শ্রমিক পাঠানো হবে, আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।